নিউজ ডেস্ক:
নতুন টেকনোলজি নিয়ে বাংলাদেশের বাজারে গত ১৭ জুলাই যাত্রা শুরু হয়েছে হংকং ভিত্তিক মোবাইল ব্র্যান্ড টেকনোর। দেশের গ্রাহকদের চাহিদা ও বিভিন্ন সুবিধার কথা মাথায় রেখে নতুন প্রযুক্তির স্মার্টফোন ছেড়েছে কোম্পানিটি। প্রাথমিকভাবে বাজারে টেকনো ব্রান্ডটির পাঁচটি হ্যান্ডসেট পাওয়া যাচ্ছে। স্থানীয় পরিবেশক হিসেবে টেকনো ফোনের বিক্রি, সরবরাহ এবং বাজারজাতকরণ করবে ট্রানশান বাংলাদেশ লিমিটেড।
এই হ্যান্ডসেটগুলোর মধ্যে ফ্লাগশিপ ফোনের মডেল আই সেভেন। এর আইসিরিজের এই ফোনটিতে আছে ৫.৫ ইঞ্চির ফুল এইচডি ডিসপ্লে। ডিসপ্লে রেজুলেশন ১০৮০ বাই ১৯২০ পিক্সেল। ফোনটিতে ১.৫ গিগাহার্জের অক্টাকোর প্রসেসর। ৪ জিবি র্যাম এবং ৩২ জিবি রম। ১২৮ জিবি পর্যন্ত মেমোরি বাড়ানোর সুবিধা। ফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ১৩ মেগাপিক্সেলে সেলফি ক্যামেরা এবং ১৬ মেগাপিক্সেলে ব্যাক ক্যামেরা। উভয় ক্যামেরায় ডুয়েল এলইডি ফ্লাশ রয়েছে।
অ্যানড্রয়েড ৭.০ অপারেটিং সিস্টেমের সঙ্গে ফোনটি টেকনোর নিজস্ব ওএস হাইওএস ব্যবহার করা হয়েছে। ফোনটিতে ৪০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার আওয়ারের ব্যাটারি রয়েছে।
ট্রানশান বাংলাদেশ লিমিটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট আরিফ চৌধুরী জানান,‘আমরা গ্লোবাল টেকনোলজি নিয়ে কাস্টমাইজড লোকাল প্রডাক্ট বানিয়েছি। এই ফোনের ক্যামেরায় বাংলাদেশের মানুষের ফেস টোন উপযোগী করে তৈরি করা হয়েছে। ’
তিনি আরো জানান, ফোনটির ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সরেও বৈচিত্র্য আছে। এতে অ্যান্টি ওয়েল ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে খাওয়ার পর তৈলাক্ত আঙুল দিয়েও ফোনটিকে আনলক করা যাবে। এছাড়াও এই ফোনটির পেছনের ও সামনের উভয় ক্যামেরায় দুইটি করে মোট চারটি এলইডি ফ্লাশ ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে রাত কিংবা দিনে, আলো কিংবা অন্ধকারে ভালো মানের ছবি পাওয়া যাবে। ফোনটির মূল্য ১৯ হাজার ৯৯০ টাকা।
টেকনোর মোবাইল ১৩ মাসের ওয়ারেন্টি এবং ১০০ দিনের রিপ্লেসমেন্ট ওয়ারেন্টি দেয়া হবে। দেশে টেকনোর ১৭টি সার্ভিস সেন্টার রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠা লাভের পর বর্তমানে বিশ্বব্যাপী ৪০টিরও বেশী দেশে টেকনো মোবাইলের কার্যক্রম চালু রয়েছে।