জিয়াবুল হক , টেকনাফ : টেকনাফে ৮ হাজার পিস ইয়াবা নিয়ে স্বস্ত্রীক এক পুলিশ সদস্য বিজিবি’র হাতে আটক হয়েছেন। আটককৃত মো. এরশাদ আলম (৩০) পুলিশ সদস্য হিসেবে চকোরিয়া থানায় কর্মরত রয়েছেন।
বিজিবি সুত্রে জানা যায়, গত ৭ আগষ্ট সোমবার রাত পোনে ১২ টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের হোয়াইক্যং বিজিবি চেকপোস্টে এ দম্পতিকে আটক করা হয়। পরে গত মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৩ টার সময় ধৃত পুলিশ সদস্য ও স্ত্রী কামরুন নাহারকে টেকনাফ মডেল থানায় সোর্পদ করে মামলা রুজু করে বিজিবি। আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্য হয়ে ইয়াবাসহ আটকের ঘটনায় সর্বত্র তোলপাড় চলছে। কিন্তু ইয়াবাসহ আটক পুলিশ সদস্যকে টেকনাফ থানায় সোপর্দ করা হলেও তাকে হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়িতে গোপনে রাখা হয়। পুলিশ সদস্য ইয়াবাসহ আটকের খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লেও টেকনাফ থানার হাজতে না রেখে পুলিশ তাকে গোপনে রাখে।
বিজিবি হোয়াইক্যং বিওপির হাবিলদার মো. হায়দর আলী শেখ জানান, গত সোমবার রাতে কক্সবাজারগামী যাত্রীবাহি একটি মাইক্রোতে তল্লাাশি করে ধৃত কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার পীর যাত্রাপুর এলাকার মৃত আলী আজমের ছেলে মো. এরশাদ আলম ও স্ত্রী কক্সবাজার পিএমখালী ছনখোলা এলাকার আব্দুল হামিদের মেয়ে কামরুন নাহারের রক্ষিত শপিং ব্যাগ হতে ৪০ টি ছোট পলিব্যাগ পাওয়া যায়। যা গননা করে ৮ হাজার পিস ইয়াবা পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। যার বাজার মূল্য ২৪ লক্ষ টাকা। এ ছাড়া ধৃতদের কাছ থেকে ৪টি মোবাইল সেটও উদ্ধার করা হয়। তবে ধৃত ব্যক্তি কোন সরকারী বাহিনীর সদস্য কিনা তা অবগত নন বলে জানান।
টেকনাফ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ আশরাফুজ্জামান এ বিষয়টি এড়িয়ে গেলেও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জয়নাল বলেন, মামলাটি যথাযত তদন্ত করা হবে বলে জানান।
এদিকে চকোরিয়া থানার ওসি বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, মো. এরশাদ আলম ৭/৮ মাস ধরে চকোরিয়া থানায় পুলিশ সদস্য হিসেবে কর্মরত রয়েছে। তবে গত ৩ দিন ধরে সে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছে। বিষয়টি তিনি উর্দ্ধতন কতৃপক্ষকে অবগত করেছেন বলেও জানান।