জিয়াবুল হক, টেকনাফ
মিয়ানমারে ক্ষুধার জ্বালা সহ্য করতে না পেরে এবার অভিনব কায়দায় নাফনদী সাতাঁর কেটে অনুপ্রবেশ করল ১৯জন রোহিঙ্গা যুবক ও পুরুষ।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, গতকাল ৩ নভেম্বর বিকাল ৩টার দিকে টেকনাফ সসাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ জেটিঘাট পয়েন্ট দিয়ে ১৫/২০ জনের একটি গ্রুপ জারিকেন সহকারে সাতাঁর কেটে নাফনদীর সীমান্তে অনুপ্রবেশকালে স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে কৌতুহলের সৃষ্টি হলে অসংখ্য নারী-পুরুষ তাদের দেখার জন্য নদীর পাড়ে ভিড় জমায়। এরপর অনুপ্রবেশকারী আবদুল্লাহ, মোঃ আয়াছ,জাহেদ, নজির আহমদ, জহির আহমদ, মোঃ আইয়ুব, রহমত উল্লাহ, মোঃ নুর, সিরাজুল ইসলাম, আবদুল মোনাফ, আজিজুর রহমান, আবু ছৈয়দ, নুর কবির, ফয়েজুল আলম, আনোয়ার খালেদ, মোঃ আইয়ুব, মোঃ নুর, মোঃ আয়াছ ও নবী হোছন মিয়ানমারের বুচিধং পুইমালী হতে কাজ ও খাদ্য সংকটের কারণে জারিকেনসহ নাফনদী সাতাঁর কেটে আসাদের শাহপরীর দ্বীপ বিজিবি জিম্মায় নেয়। পরে তাদের চিকিৎসা ও মানবিক সহায়তা দিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রেরণ করা হতে পারে। শাহপরীর দ্বীপের স্থানীয় ৯নং ওয়ার্ড মেম্বার ফজলুল হক সাতাঁর কেটে ১৯জন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
অনুপ্রবেশকারী কিশোর ও যুবকেরা জানায়,মিয়ানমারে সহিংস ঘটনার সুত্রধরে সেখানে রয়ে যাওয়া রোহিঙ্গারা এক স্থান থেকে অন্যস্থানে গিয়ে কাজকর্ম ও বাজার করতে পারছেনা। তাই তাদের তীব্র খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। তারা প্রাণে রক্ষার্থে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয় কিন্তু নৌকার অভাবে আসতে না পারায় ধামনখালীতে তাবু নিয়ে ঘাঁটি গড়ে। আর্ন্তজাতিক সাহায্য সংস্থা ইউএনএইচসিআর কিছুটা খাদ্য সহায়তা দিলেও তা ছিল চাহিদার তুলনায় কম। তাই তারা নাফনদী সাতঁরিয়ে বাংলাদেশে চলে আসে। তাদের সীমান্তরক্ষী বিজিবির হেফাজতে নেওয়া হলেও চিকিৎসা এবং মানবিক সহায়তা দিয়ে শরণার্থী ক্যাম্পে প্রেরণ করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।