হাবিবুল ইসলাম হাবিব, টেকনাফ: বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সারা দেশে ন্যায় টেকনাফ উপজেলা গত ২৫ জুলাই থেকে ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু সরকারী ভাবে ফ্রি দেওয়ার কথা থাকলেও টেকনাফ সদর ইউনিয়নের কচুবুনিয়াপাড়া এমপি বদি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও তথ্য সংগ্রহকারী হিসাবে ছোট হাবিব পাড়া এবং কচুবনিয়াপাড়া এলাকায় কাজ করেন। ওই এলাকায় ভোটার হালনাগাদ করতে বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে টাকা নিলেও ভোটার ফরম তালিকায় অর্šÍভুক্ত হতে পারেনি আবেদনকারীরা। এই ঘটনায় ২৩ আগষ্ট বুধবার বেলা ১১ টার দিকে টেকনাফ সদর ইউনিয়ন কচুবুনিয়াপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অফিস রুমে উক্ত ভুক্তভোগিরা এলাকার লোকজন নিয়ে টাকা ফেরত চাইতে গেলে প্রধান শিক্ষক মো: আমিন টাকার নেওয়ার অস্বীকার করে। পরে স্কুলে হট্রগোল হলে স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
সুত্রে জানা যায়, নির্বাচন কমিশনের দিক নির্দেশনা না মেনে তথ্যসংগ্রহকারী মো. আমিন ইচ্ছামত নিবন্ধন করেন ভোটার হালনাগাদে অর্ন্তভুক্ত হতে না পারা লোকজন জানান, প্রয়োজনীয় সব কাগজ থাকার পরও টাকার জন্য মাষ্টার আমিন ফরম সংকট দেখিয়ে অপরিচিতি লোকজনকে ভোটার হালনাগাদ করেছে। এবং কিছু কিছু যুবকদের কাছ টাকা নেওয়ার পরও ভোটার হালনাগাদে অর্ন্তভুক্ত না করে টাকা আতœসাত করার বিষয়টি দিবালোকের মত সত্য হলেও তিনি স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব আবদুর রহমান বদির নাম বিক্রিয় করে এলাকার বিভিন্ন শ্রেনীর মানুষকে তোয়াক্কা না করে যাচ্ছে। এদিকে আবেদনকারীরা অভিযোগ করে বলেন, এমপি বদি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আমিন প্রতিজনের কাছ থেকে ভোটার হালনাগাদের অযুহাতে ২০০০/২৫০০ হাজার টাকা করে নিয়েছে। কিন্তু এলাকার যুবক-যুবতী অনেকে টাকা দিতে না পারায় হালনাগাদ কার্যক্রম থেকে বাদ পড়ে যায়। কিছু এলাকার অপরিচিত লোকজনকে মোটা টাকার বিনিময়ে ভোটার হালনাগাদে ফরম পূরণ করে। যার কারণে বাদ পড়েছে অনেক সম্ভাবনাময় ভোটার।
স্থানীয় মো. রফিক (৫৮) নামের এক বৃদ্ধা অভিযোগ করে জানান, আমার ছেলে-মেয়েদেরকে ভোটার হালনাগাদ করার জন্য স্থানীয় স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাষ্টার আমিনের কাছে গেলে ফরম নেই জানিয়ে তিনি আমার কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা দাবী করেন। ওই টাকা দিতে অস্বীকার করিলে মাষ্টার আমিন আমার ছেলে-মেয়েদের ভোটার হালনাগাদ না করে অপরিচিতি লোকজনের কাছ থেকে মোটা টাকার বিনিময়ে ফরম শেষ করে। তিনি বাড়ী বাড়ী না গিয়ে উক্ত স্কুলের অফিসে বসে ইচ্ছামত টাকার বিনিময়ে ভোটার করছেন বলে লোকজন অভিযোগ করেন। একই এলাকার হাসান আলী ও তার ভাই ভোটার হালনাগাদ হতে মাষ্টার আমিনের কাছে গেলে ফরম সংকট দেখিয়ে ৪ হাজার টাকা নিয়ে ফরম পুরণ করেন। আরেক আবেদনকারী সৈয়দ আলমের পুত্র মো. ইউনুচ এর কাছ থেকে ভোটার হালনাগদ করার নামে ৩ হাজার টাকা দাবি করে, পরে দুই হাজার টাকার বিনিময়ে কথা হয় প্রথমে ১ হাজার টাকা দিয়ে প্রযোজনীয় কাগজ পত্রসহ ফরমে টিপসই নিয়ে চলে যায়। এর পরে খবর নিয়ে জানতে পারে সেই ফরমে আরেক জনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসে জমা প্রধান করে। সেই আবেদনকারী সৈয়দ আলমের ছেলে মো: ইউনুচ এলাকার গর্নমান্য লোকজনকে অবহিত করলে এলাকার লোকজন মাষ্টার আমিনের কাছে গিয়ে জানতে চাইলে উল্টা হুমকি দিয়ে কথা বলেন। স্থানীয় লোকজন বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন। ঘটনাটি গতকাল বুধবার জানাজানি হলে পুরো টেকনাফ জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম জানান, বিষয়টি অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবেন বলে জানান।