নিউজ ডেস্ক:
অজান্তেই আমাদের আশপাশটা কেমন বদলে যাচ্ছে। যত দিন যাচ্ছে তত আমরা স্ট্রেস, টেনশান এবং অ্যাংজাইটির চক্রে এমন আটকে যাচ্ছি যে জীবনের দৈর্ঘ যাচ্ছে কমে। আসলে এই তিনটি ফ্যাক্টরের সঙ্গেই একাধিক মরণ রোগের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। ফলে একবার যদি স্ট্রেসকে সঙ্গী বানান, তাহলে নিজে থেকেই উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস এবং হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। আর ইয়ং জেনারেশন স্ট্রেসের থেকে দূরে থাকবে, তা কী করে হতে পারে বলুন! তাই সাবধান!
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি এমন রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমাতে টমেটো দারুন উপকারে লাগে। এই সবজিটি যদি নিয়মিত খাওয়া যায় তাহলে হাইপারটেশন নিয়ে আর কোনো চিন্তাই থাকে না। তাই সুস্থ জীবন পেতে আজ থেকেই কাঁচা অথবা রান্না করা অবস্থায় টমেটো খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার পাবেন।
কীভাবে টমেটো উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখে?
আসলে এই সবজিটিতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় লাইকোপেন এবং বিটা ক্যারোটিন নামে বিশেষ কিছু উপাদান, যা শরীরে উপস্থিত ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানদের যেমন বের করে দেয়, তেমনি স্ট্রেস লেভেলও দ্রুত কমিয়ে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। এখানেই শেষ নয়, টমেটোতে উপস্থিত ভিটামিন ই, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পটাশিয়ামও রক্তচাপকে দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এবার বুঝতে পারছেন তো এই ধরনের রোগের বিরুদ্ধে যদি লড়াই করতে হয়, তাহলে টমেটোকে সঙ্গে রাখাটা কতটা জরুরি!
আরও বেশ কিছু উপকারিতা:
টমাটো যে কেবল উচ্চ রক্তচাপের চিকিৎসাতেই কাজে লাগে। এমন নয় কিন্তু! নিয়মিত যদি এই সবজিটি খেতে পারেন তাহলে আরও একাধিক রোগ দূরে থাকে। যেমন…
১. ক্যান্সার রোগকে দূরে রাখে:
টমেটোতে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি শরীরে ক্যান্সার সেলের জন্ম আটকাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ফলে প্রতিদিন যদি ১-২টা করে টমেটো খাওয়া যায় তাহলে এই মরণ রোগ নিয়ে আর চিন্তায় থাকতে হবে না, এমনটাই দাবি চিকিৎসকদের। বিশেষত প্রস্টেট এবং কলোরেকটাল ক্যান্সারকে দূর রাখতে টমেটোর কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে।
২. হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে:
ফাইবার, পটাশিয়াম, ভিটামিন সি এবং কোলিন হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর এই সবকটি উপাদানই প্রচুর মাত্রায় রয়েছে টমেটোতে। তাই হার্টকে যদি দীর্ঘদিন সুস্থ রাখতে চান, তো প্রতিদিনের ডায়েটে এই সবজি রাখতে পারেন।
৩. ডায়াবেটিস:
রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রেখে টাইপ ১ এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে টমেটোর কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে এতে উপস্থিত ফাইবার এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৫. কনস্টিপেশন:
প্রতিদিন সকালে প্রকৃতির ডাক মানেই জ্বালা-যন্ত্রণা-কষ্ট? তাহলে তো আপনাকে টমেটো খেতেই হবে। কারণ এতে উপস্থিত ফাইবার কনস্টিপেশনের সমস্যা দূর করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে হজম ক্ষমতার উন্নতিতে এবং আরও নানা ধরনের পেটের রোগের উপশমেও বিশেষ ভূমিকা নেয়।
৬. দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটে:
টমেটোয় উপস্থিত লাইকোপেন, লুটেন এবং বিটা-ক্যারোটিন দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি চোখের ছানির মতো রোগকে দূরে রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।