নিউজ ডেস্ক:
টঙ্গীর তুরাগ তীরে আগামী শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমাবেশ ৪ দিনের বিশ্ব ইজতেমা। ইতোমধ্যে মাঠের কাজ প্রায় ৮০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে।
আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার ফজরের নামাজের পর পরই আ’ম বয়ানের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে এবারের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। ১৬ তারিখ প্রথম পর্ব শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয় পর্ব শুরু হবে ১৭ তারিখ এবং শেষ হবে ১৮ তারিখ।
টঙ্গীর তুরাগ তীরে পুরো ইজতেমা ময়দান ঘুরে দেখা যায়, ইজতেমাকে সামনে রেখে পুরোদমে এগিয়ে যাচ্ছে সকল প্রস্তুতিমূলক কাজ। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ভ্যাকু দিয়ে সমান করা হচ্ছে মাঠের বিভিন্ন অংশ ও রাস্তা ঘাট। দ্বীনি মুসল্লি ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে ইজতেমা ময়দানে সামিয়ানা টানাচ্ছে, ঠেলা গাড়ীতে বাস নিয়ে আসছে, মাটির কাজ, মাঠ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নসহ চলছে মাইক টানানোর কাজ। প্রতিদিন ঢাকা ও গাজীপুরসহ আশপাশের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা দল বেধে ইজতেমা ময়দানে এসে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে বিশাল প্যান্ডেলের কাজ করছেন।
ইজতেমার ময়দান জুড়ে বিদ্যুতের তার, গ্যাসের লাইন ও পানির পাইপ টানার কাজও চলছে একই সঙ্গে। ওজু গোসলের স্থান ও টয়লেট পরিস্কার পরিছন্নসহ নানা কাজ করছে জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর ও সিটি কর্পোরেশন। এপর্যন্ত প্যান্ডেলের বেশিরভাগ কাজ হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইজতেমার আযোজক কতৃপক্ষ। জেলাওয়ারি ভাগ করা হচ্ছে খিত্তা। মাঠে গিয়ে দেখা যায় অধিকাংশ চটের ছাউনি এখনো বাকি রয়েছে। ময়দানে বাঁশের খুটি পুতা হয়ে গেছে। মাঠের পূর্ব পাশে বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা বালু দিয়ে মাঠ ভরাটের কাজ করছে। বিদেশী মুসল্লিদের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে টিনের ঘর। বিদেশী মেহমানদের কামরার দক্ষিণ পূর্ব পাশে মূল মঞ্চের কাজ করা হচ্ছে। তুরাগ নদী পারাপারের সুবিদার্থে সেনাবাহিনী অস্থায়ি সেতু নির্মাণ করছেন। যাতে করে মুসল্লিরা এপার ওপার সেতুবন্ধন তৈরি করতে পারেন।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর এরই মধ্যে বিশ্ব ইজতেমার মাঠ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের জানান, অন্যান্য বারের মতো এবারও সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ, আনসার ও সাদা পোশাকে ১০ হাজারের বেশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আগত মুসল্লি¬দের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবেন।