স্টাফ রিপোর্টার,ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার সেজিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম নৈশ্য প্রহরী বাবুর বিরুদ্ধে একই স্কুলের ছাত্রী ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠার খবর পেয়ে বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম নৈশ্য প্রহরী বাবু গা ঢাকা দিয়েছে। এলাকাবাসী সুত্রে জানাগেছে, সেজিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম নৈশ্য প্রহরী সেজিয়া বাজার পাড়ার ছফুর উদ্দীনের ছেলে বাবু বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর দুই ছাত্রীকে স্কুলের টিফিনের সময় ধর্ষনের চেষ্টা করে। ঘটনাটি চাঁপা থাকলেও তা কয়েকদিন পরেই প্রকাশ পেয়ে যায়। একজন ছাত্রীর বাবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও আর এক ছাত্রীর বাবা স্কুল ম্যানেজিং কমিটির বরাবর লিখিতভাবে অভিযোগ করেছেন। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক স্কুলের জনৈক শিক্ষক জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল বুধবার সকালে স্কুল ম্যানেজিং কমিটি ও পিটিআই কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। তিনি আরও জানান, ধর্ষনের চেষ্টার ঘটনার কেন্দ্র করে বেশ কয়েকদিন ধরে স্কুলের দপ্তরী কাম নৈশ্য প্রহরী বাবু পলাতক রয়েছে। দপ্তরী কাম নৈশ্য প্রহরী বাবুর বোন কাকলী খাতুন জানান, আমাদের সাথে ইউপি সদস্য আলীম মেম্বারদের সাথে জায়গা জমি নিয়ে বিরোধের কারণে ইতি পূর্বে দু’টি ধর্ষনের মামলা দেওয়া হয়েছিল। আবারও চেষ্টা করছে আমার ভাইকে হয়রানী করার জন্য। তারা এভাবেই জায়গা জমি নিয়ে বিরোধের কারণে আমার ভাই, আমার আব্বাসহ পরিবারের সদস্যদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করে আসছে। যে অভিযোগ আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে আনা হচ্ছে তার কোন সত্যতা নেই। স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মতিন জানান, ঘটনাটি শুনেছি বেশ কিছুদিন পূর্বের ঘটনা। এখন তা নিয়ে চলছে অভিযোগ দেওয়ার পালা। এর কতটুকু সত্যতা আছে তা আমার জানা নেই। স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ইউপি সদস্য মাজেদা খাতুন জানান, গতকাল বুধবার সকালে ৩ ছাত্রীর অভিভাবকদের অভিযোগের ভিত্তিতে জরুরী ম্যানেজিং কমিটির মিটিং বসেছিল। যেহেতু স্কুলের দপ্তরী কাম নৈশ্য প্রহরী বাবু পলাতক রয়েছে। সে কারণে পিটিআই কমিটি, ম্যানেজিং কমিটি ও স্কুলের শিক্ষকদের নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি আগামী রোববার তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।