জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ থেকেঃ সেনাবাহিনীর ল্যান্স কর্পোরাল সাইফুল ইসলাম হত্যার প্রতিবাদে শত শত মানুষ মানববন্ধন করেছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে সেনা সদস্য’র নিজ গ্রাম ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বংকিরা গ্রামের স্কুল মোড়ে এই মানববন্ধন কর্মসুচি পালিত হয়। মানববন্ধন কর্মসুচিতে সাধুহাটী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী নাজির উদ্দীন, ইউপি মেম্বর এনামুল হক ডালু, ইউপি মেম্বর আমিরুল ইসলাম, সাবেক মেম্বর শুকদেব কর্মকার, বঞ্চিতজন সংগঠনের চেয়ারম্যান আনোয়ার পাশা বিদ্যুৎ, নিহত সেনা সদস্য সাইফুলের পিতা হাবিজুদ্দীন হাবু, আওয়ামীলীগ নেতা মিঠুন জোয়ারদার, আঞ্চলিক ভাষা গ্রুপের ঢাকা অফিসের কর্মকর্তা সুজয় কর্মকার, সাফওয়ান আব্দুল্লাহ, তন্ময় চক্রবর্তী, বিশ্বজিৎ ঘোষ, সাগর হোসেন ও হাজরা গ্রামের শহিদুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। মানববন্ধনে বক্তাগন ল্যান্স কর্পোরাল নিহত সাইফুল ইসলামকে নিরীহ ও শান্ত স্বভাবের মানুষ উল্লেখ করে বলেন, এই খুনের সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। এলাকার মানুষ দ্রুত বিচার দেখতে চাই। নইলে মানুষ আশাহত হবে। সাধুহাটী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী নাজির উদ্দীন বলেন, এ ঘটনার পর পুলিশ যথেষ্ট তৎপর। তারা হত্যার ক্লু ও মোটিভ উদ্ধার করেছে। এখন সব আসামী গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। নিহত সেনা সদস্য সাইফুলের পিতা হাবিজুদ্দীন হাবু আহাজারী করে বলেন, কি অপরাধ করেছিল আমার সন্তানের ? কেন তাকে এ ভাবে নির্মমভাবে ঈদের আগে হত্যা করা হলো। তার দুই সন্তানের দিকে তো আমি তাকাতে পারি না। তিনি সন্তান হত্যার বিচার চান। উল্লেখ গত ১৮ আগষ্ট সন্ধ্যা রাতে স্থানীয় বদরগঞ্জ বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে হাওনঘাটা নামক স্থানে ৬/৭ জনের একদল ডাকাত জাম গাছ কেটে রাস্তায় ফেলে গতিরোধ করে। এ সময় ডাকাতদলের সাথে সাইফুলের বাদানুবাদের এক পর্যায়ে তারা তাকে গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এতে তার মৃত্যু হয়। পুলিশ এ ঘটনায় বংকিরা গ্রামের আকিমুল, চুয়াডাঙ্গার ভুলটিয়া গ্রামের ডালিম ও সদরের বোড়াই গ্রামের মিজানুর রহমান মিজারকে গ্রেফতার করে। এর মধ্যে আকিমুল ঘটনার সাথে জড়িত বলে ১৬৪ ধারায় জবাবনবন্দি দিয়েছেন বলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক মহসিন জানিয়েছেন।