এ ঘটনায় আহত রইচ আলী লস্করের চাচা শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে পবহাটি গ্রামের আলতাফ হোসেন ফরিদ, কেরামত লস্কার, শামিম হোসেন, রাহাদ হোসেনসহ ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাত ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। সরেজমিনে দেখা যায়, তিনটি বাড়িতে ভাংচুর, টাকা পয়সা লুটপাট ও সন্ত্রাসী তান্ডব চালিয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, ওই এলাকার মানুষ দুইটি সমাজে বিভক্ত। আর এই তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক দ্বন্দের কারণে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।
উল্লেখ্য, আলতাফ হোসেন ফরিদ আদালতে চাকুরি করার কারণে সে দিন দিন আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তার নেতৃত্বে গ্রামে অপকর্ম দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাকে এলাকাবাসী দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।
আরও জানা যায়, স্থানীয় একটি চায়ের দোকানে ঘটনার আগের দিন রাতে দুইশত টাকার মতো বাকি খাওয়া এবং পরদিন সেই টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ ভুক্তভোগীরা সঠিক তদন্ত ও সুবিচারের আশায় প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহীন উদ্দিন জানান, শহরের পৌর এলাকার পবহাটি গ্রামে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত স্বাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।