স্টাফ রিপোর্টার,ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহের মহেশপুরে বাংলালিংক সার্ভিসে চাকুরীর প্রলোভনে প্রতারিত হয়েছে ৫ যুবক। উপজেলার ভাষানপোতা গ্রামের কলিম উদ্দীনের পুত্র নজরুল ইসলাম বাংলালিংক সার্ভিসে বিভিন্ন পদে চাকুরী দেওয়ার নাম করে একই গ্রামের বজলুর রহমানে পুত্র ইয়ামিন, বাবলুর রহামনের পুত্র রকি, রবকুল হোসেনের পুত্র হাসেম আলী, হলদিপাড়া গ্রামের আব্দুর রশিদের পুত্র উজ্জল ও শ্যামকুড় গ্রামের অমিত হাসান কাছ থেকে ১০/২৫ হাজার টাকা করে উত্তলন করে। গত ২৩শে এপ্রিল তাদেরকে নজরুল নরসিংদি প্রশিক্ষনের জন্য প্রেরন করে।
ভুক্তভোগী উজ্জল জানান, প্রশিক্ষনের নিয়ে যাওয়ার আগে আমাদের কাছ থেকে ১০/২০ হাজার টাকা নেওয়া হয় এবং প্রশিক্ষন ফি বাবদ ২হাজার ৫শ টাকা করে নেয়। আমরা পরবর্তী বাংলালিংক অফিসের মাধ্যমে জানতে পারি যে আমাদের কোন চাকুরী হয়নি। আমাদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার জন্য এ প্রশিক্ষন নাটক করা হয়েছে। বুঝতে পেরে আমরা সকলে ঘটনা স্থল থেকে পালিয়ে আসি।
প্রতারিত ব্যাক্তিরা সকলে তাদের টাকা ফেরৎ পেয়েছে কিনা জানতে চাইলে উজ্জল বলেন অমার কাছ থেকে নজরুল ইসলাম ২৫ হাজার টাকা নিয়েছে কিন্তু সে এখনো কোন টাকা ফেরৎ পায়নি। টাকা চাইলে তিনি বলেন কিছু টাকা খরচ হয়েছে এজন্য কিছু টাকা কম দেওয়া হবে। রকি বলেন, আমি ১০ হাজার টাকা দিয়েছিলাম আমাকে কিছু টাকা কম দিয়ে ফেরৎ দেওয়া হয়েছে। অন্যদের টাকা এখন ফেরৎ দেওয়া হয়েছে কিনা তা আমি বলতে পারব না।
নজরুল ইসলামের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি উত্তেজিত অবস্থায় সাংবাদিকদের বলেন আপনাদের এই সংবাদটি কে দিয়েছে। যারা টাকা দিয়েছে তাদের টাকা ফেরৎ দেওয়া হয়েছে। যারা এ তথ্য ফাঁস করেছে তাদেরকে মেরে হাসপাতালে পাঠানো হবে। তিনি আরো বলেন, গত কয়েক দিন আগে ঝিনাইদহ জেলা পরিষদ সদস্য খবির উদ্দীনের নামে একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি আসে। উক্ত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আমি তাদের কাছ থেকে টাকা গ্রহন করি এবং চাকুরি দিতে না পারায় তাদের টাকা তাদেরকে ফেরত দেওয়া হয়েছে। এব্যাপারে বাংলালিংক অফিসে যোগাযোগ করলে জানাগেছে, এধরনের কোন বিজ্ঞাপন বাংলালিংক কোম্পানি দেয়নি। অফিসের কর্মকর্তারা বলেন এব্যাপারে সকলকে সচেতন থাকতে হবে।