জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদেহ বাজার দর নিয়ন্ত্রনে কোন পথই কাজে লাগছে না। পবিত্র রমজান মাস সামনে করে হু হু করে দাম বাড়তে শুরু করেছে। বিশেষ করে পেয়াজ রসুনের বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। সরকার শুল্কমুক্ত সুবিধায় ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির সুযোগ দিলেও বাজার নিয়ন্ত্রণে দর ব্যর্থতায় ঝিনাইদহে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি। আর ইন্ডিয়ান ১৮ টাকার পেয়াজ বেড়ে হয়েছে ২৫ টাকা। অতিরিক্ত মুনাফা লোভী বিক্রেতাদের অস্বাভাবিক হারে এই দাম বাড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ ক্রেতারা। ক্রেতাদের ভাষ্য বাজার নিয়ন্ত্রনে সরকারী সংস্থাগুলোর কাজ কি ? সরকার নির্ধারিত শাস্তির প্রক্রিয়া কি তারা প্রয়োগ করতে পারেন না ? নাকি তাদের বিবেক বিক্রি হয়ে গেছে। তারা বলছেন, ‘আমদানি বাড়লেও কোনো কারণ ছাড়াই দাম বাড়ায় নিত্য প্রয়োজনীয় এ খাদ্যদ্রব্যটি কিনতে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। এখনই বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে রমজানে আরও ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। আর বিক্রেতাদের অজুহাত তাদেরকে বেশি দরে কিনতে হচ্ছে। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, সরকারী শুল্কমুক্ত সুবিধায় গত মঙ্গলবার পর্যন্ত বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ৭৭টি ট্রাকে ভারত থেকে ৩ হাজার ৭৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। রমজান উপলক্ষ্যে দিন দিন আমদানি আরও বেড়ে চলেছে। ভারত থেকে নাসিক, হাসখালি, বেলেডাঙ্গা ও খড়কপুর নামে এসব পেঁয়াজ আমদানি হয়ে থাকে। এদেশে নাসিকের পেঁয়াজের চাহিদা বেশি। জানা যায়, এর আগে ১০ শতাংশ শুল্ক করে পেঁয়াজ আমদানি হতো। নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য পেঁয়াজের বাজার মূল্য ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার সাধের মধ্যে রাখতে ১৬ সালের রোজার আগে সরকার পেঁয়াজের উপর আমদানি শুল্ককর তুলে নেয়। এরপর থেকে আর শুল্ককর সংযোজন হয়নি। তবে শুল্ককর উঠলেও অতিরিক্ত লাভে বিক্রেতাদের সিন্ডিকেটের কারণে হঠাৎ হঠাৎ অস্বাভাবিক মূল্য বেড়েছে। কাস্টমস ইনভয়েজ মূল্য অনুযায়ী প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজ ভারত থেকে আমদানি হচ্ছে ২০৮ ইউএস ডলার মূল্যে। যা বাংলাদেশি টাকায় ১৭ হাজার ৪ শ ৭২ টাকা। এতে কেজিপ্রতি আমদানি খরচ পড়ছে প্রায় ১৮ টাকা। অন্য খরচ মিলিয়ে বেনাপোল স্থলবন্দর পর্যন্ত পেঁয়াজ পৌঁছাতে খরচ পড়ছে কেজিতে প্রায় ২০ টাকার কাছাকাছি। আমদানি হওয়া পেঁয়াজ বন্দর থেকে পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ২৩ টাকা। আর খুরচা বাজারে তা দেশি পিয়াজের কাছাকাছি মুল্যে বিক্রি হচ্ছে। ঝিনাইদহ হাটের ব্যবসায়ী আবুর কালাম জানান, কি কারণে দেশি পিয়াজের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে তা আমরা বলতে পারছি না। তবে কোন কিছু না হলে তো এই অস্বাভাবিক মুল্যবৃদ্ধি হতো না। তিনি বলেন ভার থেকে আমদানী করা পেয়াজ এক সপ্তাহ আগেও বিক্রি হয়েছে ১৮ টাকা কেজি। এখন সেই পেয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায়। একই ভাবে দেশি পেয়াজও কেজি প্রতি ৮/১০ টাকা দাম বেড়েছে।