স্টাফ রিপোর্টার,ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহ সদরের পোড়াহাটি ইউনিয়নের তিন গ্রাম থেকে গত ১৫ দিনের ব্যবধানে ৯ যুবক নিখোঁজ হয়েছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিখোঁজ ব্যক্তিদের মধ্যে শুধু টিটোর পরিবার নিখোঁজের বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছে। গত ৪ মে রাত ৮টার পর থেকে টিটো নিখোঁজ। এছাড়া লিমন নামে এক যুবক শুক্রবার নামাজ পড়তে গিয়ে আর বাড়ি ফেরেননি।
এদিকে জঙ্গি সন্দেহে র্যাবের হাতে আটক হয়েছেন সেলিম ও প্রান্ত নামের দু’জন চাচাতো ভাই। অপরদিকে ছয়জনকে বিভিন্ন সময় সাদা পোশাকধারী লোকেরা নিজেদের আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে মাইক্রোযোগে নিয়ে গেছেন বলে তাদের পরিবার অভিযোগ করেছে।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, এসব ব্যক্তি নিখোঁজ হলেও শুধু চুয়াডাঙ্গা গ্রামের টিটো ছাড়া কোনো মিসিং ডায়েরি করেনি কারো পরিবার। তবে পুলিশ সদস্যরা তাদের কাউকে আটক করেনি। তিনি আরও বলেন, আইন শৃংখলা বাহিনীর বিভিন্ন শাখা রয়েছে। অন্য কোনো বাহিনীও তাদের আটক করতে পারে। এছাড়া জঙ্গিবিরোধী অভিযান চলছে, সেই ভয়ে সংশ্লিষ্টরা হয়তো পালিয়েও থাকতে পারে। আর সেটাকে আড়াল করতে তাদের পরিবার এধরনের গল্প ছড়াতে পারে বলে তিনি মনে করেন পুলিশ সুপার।
ঝিনাইদহের সিনিয়র সাংবাদিক আসিফ ইকবাল কাজল বলেন, পুলিশের ভাষ্য মতে এসব নিখোঁজ ব্যক্তিরা জঙ্গিদের সাথে যুক্ত। তবে সাংবাদিকরা তার সত্যতা যাচাই করতে পারছে না। কারণ অত্মীয় স্বজনরা কেউ মুখ খুলছেন না বা তারাও পুলিশি হয়রানির ভয়ে লাপাত্তা হয়ে গেছেন। শুক্রবার রাতে খুলনায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মুন্সি রাজু নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। রাজু (৩০) নগরীর টুটপাড়া এলাকার সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে। পুলিশের দাবি, রাজু একজন সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে হত্যা ও ধর্ষণসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, শুক্রবার দিনগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে মহানগরীর খ্রিষ্টান পাড়া বালুর মাঠ এলাকায় রাজু বাহিনী সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের জন্য সংগঠিত হয়েছে এমন গোপন খবরে সেখানে অভিযানে যায় পুলিশ। উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে রাজু বাহিনীর সদস্যরা। পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে মুন্সি রাজু গুলিবিদ্ধ হন। পরে হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকালে মারা যান রাজু।