নিজিস্ব প্রতিবেদকঃ
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের আন্দোলনের মুখে ছুটি নিয়ে পালিয়ে গেলেন ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক এসএম রফিকুল ইসলাম।
রোববার (১৮ আগস্ট) দুপুরে জেলা প্রশাসকের দুর্নীতি, দলীয়করণ, ঘুষ বাণিজ্য ও অন্তবর্তীকালীন সরকারের তথ্য পাচারের অভিযোগ এনে ছাত্ররা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করে রাখে। তিনি এক রকম অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। ছাত্ররা তাকে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দেন।
কিন্তু তিনি নিয়ম কানুনের দোহায় দেখিয়ে ছুটিতে যেতে রাজি হন।
এরপর তিনি খুলনা বিভাগীয় কমিশনার বরাবর একটি আবেদনপত্র লেখেন। তাতে তিনি পারিবারিক সমস্যার কথা তুলে ধরেন। তার ছুটিকালীন সময়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আতিকুল মামুন জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করবেন। এ সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা কর্মীরা জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ধরেন। ছাত্রদের কঠোর মনোভাবের কারণে জেলা প্রশাসক এসএম রফিকুল ইসলাম দীর্ঘ মেয়াদি ছুটি নিয়ে কর্মস্থল থেকে একপ্রকার পালিয়ে যান।
এসময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু হুরায়রা, সাইদুর রহমান, এলমা খাতুন, রত্না খাতুন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি এসএম সোমেনুজ্জামান সোমেন, সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান মানিক, ইবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাহেদ আহমেদ ও ছাত্রদল নেতা ইমরান হোসেন, বখতিয়ার মাহমুদ, মাহবুব আলম মিলু ও আব্দুস সালাম উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ১৫ আগষ্ট বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য, অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিবাদ ও ১১ দফা দাবী আদায়ে ঝিনাইদহ চক্ষু হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতি শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত সংবাদটি নিয়ে ঝিনাইদহে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। এরপর রোববার সকালে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের আন্দোলনের মুখে ছুটি নিয়ে ঝিনাইদহ ত্যাগ করতে বাধ্য হন।
এছাড়া সংবাদে অনিয়ম, জেলা প্রশাসক এসএম রফিকুল ইসলাম ও সদ্য পদোন্নতি পাওয়া ঝিনাইদহ চক্ষু হাসপাতালের সহকারী পরিচালক মিলন হোসেনের বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে ৩৮ জন কর্মচারী নিয়োগ ও কেনাকাটায় দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়।