ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: নাশকতার মামলায় ঝিনাইদহ জেলা জামায়াতের আমির আলী আযম মো: আবু বকরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার সকালে শহরের পানি উন্নয়ন বোর্ডের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় উদ্ধার করা হয় ককটেল ও জিহাদী বই। ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি এমদাদুল হক শেখ জানান, জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা শহরে নাশকতার প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ড এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এসময় অন্যরা পালিয়ে গেলেও গ্রেফতার করা হয় জেলা জামায়াতের আমির আলী আযম মো: আবু বকরকে। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ১০ টি ককটেল ও বেশ কিছু জিহাদী বই। তার নামে ঝিনাইদহ সদর থানায় নাশকতার মামলা রয়েছে। ঝিনাইদহে আবারও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবিেিরর নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতারে সাঁড়াশী অভিযানে নেমেছে আইন শৃংখলা রক্ষা বাহিনী। এরই অংশ হিসেবে গত তিনদিনে জামায়াতের জেলা আমীর সহ ছয় নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। গতকাল সকালে ঝিনাইদহ শহরের পানিউন্নয়ন বোর্ডের সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয় ঝিনাইদহ জেলা জামায়াতের আমীর আলী আজম মোঃ আবুবকরকে। এছাড়া ২৫ নভেম্বর গ্রেফতার হন জেলা জামায়াতের সাবেক শহর সেক্রেটারী ও ঝিনাইদহ জেলা আইজীবী সমিতির নেতা এ্যাডঃ শফিউল আলম ,মহেশপুর উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর ও নাটিমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফকির আহম্মেদ এবং হরিণাকুন্ডু উপজেলা জামায়াত নেতা বদর উদ্দিন। ২৪ নভেম্বর গ্রেফতার হন জেলা জামায়াতের বায়তুলমাল সম্পাদক মাষ্টার আলাউদ্দিন এবং লিগ্যাল এইড সম্পাদক মাওঃ মফিজুল হক। ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইন-চার্জ এমদাদুল হক শেখ জানান গ্রেফতার কৃতদের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহ থানায় একাধীক মামলা রয়েছে। দলীয় সূত্র জানায়, নেতৃবৃন্দের কাছ থেকে বোমা উদ্ধারের মিথ্যা অভিযোগ সাজিয়ে ও গায়েবী মামলা দিয়ে তাঁদেরকে হয়রানির জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং অবিলম্বে তাদের মুক্তির দাবী জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী অধ্যাপক মোঃ মতিয়ার রহমান। তিনি বলেন নির্বাচন কমিশন সরকারের নীল নকশা বাস্তবায়নে আইন শৃংখলা রক্ষাবাহিনী দিয়ে জামায়াতের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানি অব্যাহত রেখেছে । তিনি নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।