স্টাফ রিপোর্টার,ঝিনাইদহঃ
স্ত্রী ও কলেজ পড়–য়া জমজ দুই মেয়ের ভবিষ্যাত নিয়ে মৃত্যুপথ যাত্রী ঝিনাইদহের রফিকুল ইসলামের সময় কাটছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিছানায়। তার অবর্তমানে মেয়ে দুইটি পড়া লেখা করতে পারবে, না বন্ধ হয়ে যাবে এই দুঃচিন্তায় রয়েছেন তিনি। ৫০ বছর বয়সী রফিকুলের দুটো কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে। ঘুর্ণাক্ষরেও তিনি টের পাননি কখন যে, মারণ অসুখ বাসা বেঁধেছে তার শরীরে। আর যখন তিনি জানলেন তখন তার দুটো কিডনিই অকেজো।
ডায়ালেসিস করে এখন তিনি কোন রকম বেঁচে আছেন। কিডনি প্রতিস্থাপন করতে তার প্রয়োজন অনেক টাকা, যা তার নেই। বেঁচে থাকার আকুতি আছে। কিন্তু চিকিৎসার সামর্থ নেই। এ পর্যন্ত তিনি তিন লাখ টাকা ব্যায় করেছেন। সামান্য বেতনে একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের হিসাবরক্ষক রফিকুল তীব্র অর্থ সংকটে ভুগছেন। চাকরীই ছিল তার ভরসা। এই চাকরীর টাকা দিয়ে তিনি ঝিনাইদহ শহরে বাসা ভাড়া করে দুই মেয়েকে লেকাপড়া করাতেন। এখন অবস্থা এমন দাড়িয়েছে যে, টাকার অভাবে কিডনি ডায়ালেসিসও করতে পারছেন না।
রফিকুলের বাড়ি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বাজারগোপালপুরে। তিনি ওই গ্রামের মৃত আদিল উদ্দীন মালিথার ছেলে। স্ত্রী রওশন আরা হতাশ কন্ঠে জানান, সর্বক্ষন কাজে ডুবে থাকা তার স্বামী আজ জীবনের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে। তার দুচোখে মুঠো মুঠো স্বপ্নের বদলে শুধুই মৃত্যুর বিভীষিকা। তারপরও শেষ চেষ্টা করে যাচ্ছেন স্বামীকে বাঁচানোর জন্য। কিন্তু চিকিৎসায় বাধা হয়ে দাড়িয়েছে অর্থ। টাকা হলে হয়তো তার স্বামীকে বাঁচানো সম্ভব হতো। রফিকুল ইসলাম এখন ঢাকা মেডিকেলের ৯০১ নং ওয়ার্ডের ৪৯ বেডে অধ্যাপক ডাঃ নিজাম উদ্দীন চৌধুরীর তত্ববধানে চিকিৎসাধীন।
অবসন্ন শরীর নিয়ে মহাকালের কাছে সোপর্দ করার দিকে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছেন রফিকুল। তার মধ্যে বেঁচে থাকার তীব্র আকুতি থাকলেও পরিবারের সামর্থ্য নেই এত অর্থ ব্যয় করে তাকে বাঁচিয়ে রাখার। রফিকুলের জমজ দুই মেয়ে ঝিনাইদহ সরকারী কেসি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন। তার বাবার জন্য চিন্তিত দুই বোন।
রফিকুলের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে ডাক্তার জানিয়েছেন, খুব দ্রুত তার কিডনি দুটি প্রতিস্থাপন করা না হলে আর বাঁচানো যাবেনা। আর এ জন্য প্রয়োজন প্রায় ১৫ লাখ টাকা। রফিকুলের সাথে যোগাযোগ ০১৬২১-৪২৮০৫৫, ০১৯১৫-০৯৫৯৮৬। আর্থিক সহায়তরার জন্য রওশন আরা, সঞ্চয়ী হিসাব নং ২৮৬৬, অগ্রনী ব্যাংক, বাজারগোপালপুর শাখা, ঝিনাইদহ। বিকাশ নং ০১৬২১-৪২৮০৫৫।