বাকি বতল সহ আটক ৪জন গেল কৈ?
ঝিনাইদহ সংবাদদাতাঃ ঝিনাইদহ সদর উপজেলার চোরকোল গ্রামের সাধনা ইটভাটার সামনে থেকে শুক্রবার সকালে তিনবস্তা ফেনসিডিলসহ চারজনকে আটক করার খবর রটেছে। কিন্তু বংকিরা পুলিশ ফাড়ির ক্যাম্প ইনচার্জ সফিউল আটকের বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। তিনি সাংবাদিকদের কাছে বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছেন। তবে খবর পেয়ে শুক্রবার বেলা এগারোটার দিকে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি এমদাদুল হক শেখ বংকিরা পুলিশ ক্যাম্পে যান। তিনি স্বীকার করেছেন ৪১০ বোতল জব্দ করা হয়েছে। তবে আটক নেই। চোরকোল গ্রামের সাধনা ইটভাটার ম্যানেজার আব্দুল হক জানান, শুক্রবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে একটি পাওয়ার টিলারে করে ফেনসিডিলের একটি বড় চালান কালীগঞ্জ অভিমুখে যাচ্ছিল।এ সময় বংকিরা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ সফিউল পাওয়ার টিলার, তিন বস্তা ফেনসিডিল ও চারজনকে আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে যায়। বিষয়টি ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয় বহু মানুষ দেখেছে।
ক্যাম্পে কর্মরত অনেক কনস্টেবল এই বিপুল পরিমান ফেনসিডিল গায়েব করার চেষ্টায় ক্ষুদ্ধ বলে জানা গেছে। বিষয়টি ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখকে জানানো হলে তিনি খোঁজ নিয়ে জানাবেন বলে জানান। এ বিষয়ে বংকিরা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ সফিউলকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি (০১৭১১-৩৫৩১১৭) ফোন ধরেন নি। একটি সুত্রে জানা গেছে, জীবননগর এলাকা থেকে এই ফেনসিডিলগুলো কালীগঞ্জে যাচ্ছিল। এর আগেও ক্যাম্প ইনচার্জ সফিউল একাধিকবার ফেনসিডিল আটক করে জব্দ তালিকায় কম দেখিয়ে জমা দিয়েছেন বলে ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সিমান্তাবর্তী জেলা হওয়ায় বংকিরা পুলিশ ক্যাম্পটি টাকা আয়ের জন্য “সোনার খনি” হিসেবেও পরিচিতি লাভ করেছে। এই ক্যাম্পে কেও একবার পোস্টিং হলে তারা যেতে চান না এমন কথাও এলাকায় ব্যাপক ভাবে প্রচার আছে।