রিপোর্ট : ইমাম বিমান
ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে এক রোগীর শারীরিক পরীক্ষা করানোর জন্য রোগীকে আয়ত্বে নেয়াকে কেন্দ্র করে শহরের পপুলার ডায়গষ্টিক ল্যাব ও স্কয়ার ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের দুই মহিলা দালালের মধ্যে হাতাহাতির এক পর্যায় চুলোচুলির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার দুপুরে স্কয়ার ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের মহিলা দালাল শাহানাজ বেগম সদর হাসপাতালের এক রোগীকে ফুসলিয়ে ক্লিনিকে নিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু মাঝ পথে পার্শ্ববর্তী পপুলার ডায়গনষ্টিক ল্যাবের মহিলা দালাল শাবানা বেগম। রোগী নেয়াকে কেন্দ্র করে শাবানা ও শাহনাজ দুইজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায় দুজনের মধ্যে চুলোচুলি বেধে যায়। দু’জনেই সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে পরে।
এনিয়ে শনিবার দুপুরে এ বিষয়টি নিয়ে দুই ক্লিনিক মালিক পক্ষ সমযোতায় বসলেও সমাধানে আসা যায়নি বলে জানিয়েছেন দুই ক্লিনিক মালিক পক্ষ ও দালাল চক্র। স্কয়ার ক্লিনিকে এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের কর্মচারী ও সদর হাসপাতালের রোগী নেয়া দালাল শাহাজান বেগম বলেন, আমি হাসপাতাল থেকে পরীক্ষার জন্য এক রোগীকে নিয়ে যাচ্ছিলাম। এ নিয়ে পথি মধ্যে শাবানার সাথে বাক বিতন্ডা হয়। পরে সে আমাকে এলোপথারী মারধর করে আমার মাথার চুল ছিড়ে নেয়। আমি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছি। থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
অপরদিকে পপুলার ডায়গষ্টিক ল্যাবের কর্মচারী ও সদর হাসপাতালের রোগী নেয়া দালালের কাজে নিয়েজিত শাবান বেগম তার উপর উঠা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি তাকে রোগী নেয়ার কথা জানতে চাইছিলাম। কিন্তু শাহনাজ ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে মারধর করে মাথার চুল ছিড়ে ফেলে।
এ ব্যাপারে দুই ক্লিনিক মালিক সমযোতার জন্য বসেলেও পপুলার ডায়গনষ্টিক ল্যাবের মালিক মিন্টু বলেন, ২ জন ক্লিনিকের কর্মচারীদের মাঝে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে হাতাহাতি হয়েছে। আমরা মালিক পক্ষ বসেও সমাধান করতে পারিনি। স্কয়ার ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের এক মালিক বলেন, আমাদের কর্মচারী শাহনাজকে হাসপাতালে বসে রোগী নেয়ার সময় পপুলার ডায়গনষ্টিক ল্যাবের কর্মচারী শাবানা মেরে মাথার চুল উপরিয়ে নেয়। আমরা বিষয়টি নিয়ে বসলেও দু’জনের মাঝে সমযোতায় শাবানার সায় না থাকায় কোন সুরাহা করতে পারিনি।