রিপোর্ট : ইমাম বিমান।
ঝালকাঠি জেলা বাস মালিক সমিতির গাড়িকে রাস্তার ন্যায্য হিস্যা না দেওয়ার অভিযোগে দক্ষিণাঞ্চলের ছয় রুটে সোমবার সকাল থেকে সরাসরি বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতি । ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতির গাড়িকে রাস্তার ন্যায্য হিস্যা না দেওয়ার অভিযোগে দক্ষিণাঞ্চলের ছয় রুটে সোমবার সকাল থেকে সরাসরি বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। ঝালকাঠি বাস মিনিবাস মালিক সমিতির গাড়ী বরিশাল-বাখেরগঞ্জ, বরিশাল-নিয়ামতি, বরিশাল-পটুয়াখালি, বরিশাল-বরগুনা, বরিশাল-কাঠালতলি, বরিশাল-বাউফল ও বরিশাল কুয়াকাটাসহ ৮ রুটে সড়কে চলাচলের ন্যায্য দাবী আদায়ের লক্ষ্যে বাস চলাচল বন্ধ রাখে ঝালকাঠি বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতি। এতে যাত্রীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। ঝালকাঠি বাস ও মিনিবাস শ্রমিক সমিতির সাধারন সম্পাদক বাহাদুর বেপারী বাস চলাচল বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের বলেন, দীর্র্ঘদিন ধরে ওই ছয় রুটে বরিশাল, পটুয়াখালী, পিরোজপুর ও বাগেরহাট সমিতির বাস সমন্বয় করে চলাচল করলেও বরিশাল-কুয়াকাটা রুটে ঝালকাঠি সমিতির কোনো বাস চলতে দেওয়া হচ্ছে না।
অপরদিকে বাস মালিক সমিতির নেতা ও ভৈরবপাশা ইউপি চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহম্মেদ বলেন খুলনা, পিরোজপুর যদি সমন্বয় করে বাস বিভিন্ন রুটে চালান তাহলে আমাদের বাসগুলো কুয়াকাটাসহ বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন রুটে কেন চলাচল করতে পারবে না। বিএমপি’র এসি ট্রাফিক রাসেল জানান, বাস বন্ধের বিষয়টি তিনি জানেন বিষয়টি উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে জনগনের দূর্গোব লাগবে যা যা করার দরকার তাই করবেন। এদিকে বাস মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক কালু জানান, ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতি’র সাথে আলোচনা করে বিষয়টি সুরাহার চেষ্টা চলছে। ঝালকাঠি বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির দাবী আদায়ের সংগ্রাম কমিটির আহবায়ক নাসির উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, রুপাতলী পর্যন্ত আগে বাস চলাচল করত। এখন ষ্ট্যান্ড রায়াপুর এগিয়ে আনা হয়েছে। সংকট নিরসনে বিভাগীয় বাস মালিক সমিতির সমন্বয় কমিটির সভাপতি হিসেবে জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি সরদার মো. শাহ আলম এক সভা আহবান করেন। তবে বরিশাল মালিক সমিতির সহযোগীতা না পাওয়ায় বৈঠক করা সম্ভব হয়নি।
গত বৃহস্পতিবার শহরের একটি কমিউনিটিসেন্টারে ৮ রুটে বাস চলাচলের দাবীতে এক সংবাদ সম্মেলন করে ঝালকাঠি বাসমিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিলন মাহামুদ বাচ্চু, ১৮ ডিসেম্বরেরমধ্যে দাবী পুরন না হলে ঝালকাঠির রাস্তায় বরিশাল-পটুয়াখালি বাস মিনিবাসমালিক সমিতির গাড়ী চলাচল করতে দেয়া হবে না বলে ঘোষনা দেন। তিনি আরও বলেন সংবাদ সম্মেলনে বলা হয় বরিশাল থেকে দক্ষিনাঞ্চলে যেতে ঝালকাঠির ৮ কিলোমিটার রাস্তা ব্যবহার করে বরিশাল-পটুয়াখালি বাস মিনিবাস মালিক সমিতি। অথচ এসব রাস্তায় ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতির গাড়ী চলতে দেয়া হয়না। অপর দিকে বরিশাল-পটুয়াখালী বাস মালিক সমিতির কার্যকরী সভাপতি নজরুল ইসলাম খোকন বলেন, ‘ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতির দাবী সম্পূর্ন অযৌক্তিক। কারন তাদের রাস্তা অনুযায়ী গাড়ি বেশী। রেসিও অনুযায়ী ঝালকাঠি সমিতির গাড়ি আগে থেকেই বেশী চলাচল করছে। এ সংকট নিরাসনে সর্বশেষ ২৭ জুলাই বিভাগীয় কমিশনার বিভাগীয় বাস মালিক সমিতির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদককে ৬ জেলার বাস মালিক সমিতির সাথে বসে বিরোধের বিষয়টি নিরসনের নির্দেশ দেন। কিন্তু বিভাগীয় বাস মালিক সমিতির সভাপতি ঝালকাঠি জেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি সরদার মো. শাহ আলম এখন পর্যন্ত সমন্বয় সভা করতে পারেনি।