রিপোর্ট : ইমাম বিমান: ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলায় বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক সন্ত্রাসী প্রেমিক আয়শা আক্তার নামে এক কলেজ ছাত্রীকে অনলাইনে স্নাতক ভর্তি ফরম পূরন করতে এসে অপহরনের পর শারীরিক নির্যাতনের মামলার প্রধান অাসামী মাইনুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে রাজপুর থানা পুলিশ। গতকাল ৫ অাগষ্ট শনিবার দুপুরে গাবখান সেতু সংলগ্ন এলাকা হতে মাইনুলকে গ্রেফতার করে রাজাপুর থানা পুলিশ তাকে জেল হাজতে প্রেরন করে।
উল্লেখ্য গত ১৫ জুন অপহরনের পর শারীরিক নির্যাতনের শিকার অায়শা অাক্তার নির্যাতনের এক পর্যায় কৌশলে পালিয়ে এসে নির্যাতনের শিকার ঐ ছাত্রী নিজেই বাদী হয়ে মাইনুল ইসলামকে প্রধান আসামী করে রাজাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত মাইনুল উপজেলার দক্ষিন রাজাপুর গ্রামের তানজের সিকদারের ছেলে। এ ঘটনায় মাইনুল ইসলাম সহ অজ্ঞাতনামা আরো দুজনকে আসামী করা হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানাগেছে, ১৫ জুন বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজাপুর উপজেলার রোলা গ্রামের মো. শাহ্ আলম হাওলাদারের মেয়ে কলেজ ছাত্রী অায়শা অাক্তার স্নাতকে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করতে কম্পিউটারের দোকানে আসে। এ সময় তাঁর পিছু নিয়ে মাইনুল ইসলাম ও তার সহযোগিরা ওই দোকানে যায়। অনলাইনে ভর্তি অাবেদনের কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে তাকে জোর করে মোটরসাইকেলে তুলে বখাটে মাইনুল ও তার সহযোগীরা এক আত্মীয়ের বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে আয়শাকে শারীরিক নির্যাতন করা হয়। নির্যাতনে বাধা দিতে চাইলে অভিযুক্ত মাইনুল অায়শাকে এলো পাথারি কিল ঘুষি মেরে তার মুখমন্ডল রক্তাক্ত যখম করলে এক পর্যায়ে আয়শা অচেতন হয়ে পড়ে। কিছু সময় পরে আয়শার জ্ঞান ফিরলে নিজেকে একটি ঘরের মধ্যে দেখতে পায়। পরে সে কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে স্বজনদের সহযোগীতায় রাজাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়। পরের দিন ১৬ জুন শুক্রবার দুপুরে রাজাপুর থানায় এসে নিজেই বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে।