1. [email protected] : amzad khan : amzad khan
  2. [email protected] : NilKontho : Anis Khan
  3. [email protected] : Nil Kontho : Nil Kontho
  4. [email protected] : Nilkontho : rahul raj
  5. [email protected] : NilKontho-news :
  6. [email protected] : M D samad : M D samad
  7. [email protected] : NilKontho : shamim islam
  8. [email protected] : Nil Kontho : Nil Kontho
  9. [email protected] : user 2024 : user 2024
  10. [email protected] : Hossin vi : Hossin vi
ঝালকাঠিতে মহাগডফাদার হয়ে উঠেছিলেন আমু | Nilkontho
৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | মঙ্গলবার | ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
হোম জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি জেলার খবর আন্তর্জাতিক আইন ও অপরাধ খেলাধুলা বিনোদন স্বাস্থ্য তথ্য ও প্রযুক্তি লাইফষ্টাইল জানা অজানা শিক্ষা ইসলাম
শিরোনাম :
সহকারী হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে মশাল মিছিল দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারি বোমা মেরে তাজমহল উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি বাংলাদেশে নতুন গ্যাস অনুসন্ধানে বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে শেভরন আইএমএফের ঋণের চতুর্থ কিস্তি পাওয়া যাবে মার্চে জাতীয় ঐক্য নিয়ে সংলাপে বসছেন প্রধান উপদেষ্টা দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার প্রশ্নে ভারতকে একচুল ছাড় নয়: হাসনাত আবদুল্লাহ শেরপুরে আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস পালিত ভারতীয় হাইকমিশনারকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নওগাঁয় সাতসকালে সড়কে ঝরল তিন প্রাণ চুয়াডাঙ্গা-যশোর রুটে সরাসরি বাস চলাচল শুরু ২২ মাথাওয়ালা খেজুর গাছ! টঙ্গীর তুরাগ তীরে ৫ দিনের জোড় ইজতেমা শেষে মোনাজাত ‘কেমন পুলিশ চাই’ জনমত জরিপের ফল প্রকাশ আদানি গ্রুপ থেকে বিদ্যুৎ ক্রয় অর্ধেকে নামালো বাংলাদেশ সেনাসদস্যদের দেশপ্রেমকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে বললেন সেনাপ্রধান সিরাজদিখানে ইসকন নিষিদ্বের দাবিতে বি*ক্ষোভ সমাবেশ ভারতীয় টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ চেয়ে রিট নতুন বাড়ি উদ্বোধনে করণীয়

ঝালকাঠিতে মহাগডফাদার হয়ে উঠেছিলেন আমু

  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৪

আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা ও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু। দাপটের সঙ্গে রাজনীতি করেছেন। রাজনীতির ‘মুরব্বি’ হিসেবে পরিচিত ১৪ দলের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আমুর দাপট এমন পর্যায়ে ছিল যে, তার মতের বাইরে গিয়ে কিছু বলা বা করা প্রায় অসম্ভব ছিল। এলাকার অনেকের চোখে মহাগডফাদার সাবেক এই মন্ত্রী। কৃষিজমি আর বাড়ি ভাড়া থেকেই আয় হতো তার।

তবে নেপথ্যে আয়ের মূল উৎস ছিল চাকরির তদবির, ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ, কমিটি গঠন, নির্বাচনী মনোনয়ন-বাণিজ্য। এই খাত থেকে অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ নিতেন নগদে।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শেখ হাসিনা দেশ ছাড়েন। এরপর আমুর ঝালকাঠির বাড়িতে বিক্ষুব্ধ জনতা হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে।

তাঁর বাড়ি থেকে পোড়া-অক্ষত মিলিয়ে প্রায় চার কোটি টাকা ও বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার করে সেনাবাহিনী ও পুলিশ।

জানা যায়, আমুর নামে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা রয়েছে সাড়ে ১১ কোটি টাকা। নিজ নামেই স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ রয়েছে ২০ কোটি ৩২ লাখ টাকার। এ ছাড়া দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ, আত্মীয়-স্বজনের নামে-বেনামেও সম্পদ অর্জন করেছেন বলে দুদকের গোয়েন্দা অনুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছে।

আমুর ভায়রাভাই ফখরুল মজিদ কিরণ। আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের ছোট ভাই তিনি। বাড়ি নরসিংদী জেলায়। নিজের এলাকা নরসিংদী হলেও পড়ে থাকতেন ঝালকাঠিতে। শিল্পমন্ত্রী থাকাকালে আমির হোসেন আমুর সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) ছিলেন কিরণ।

আওয়ামী লীগ সরকারের প্রায় ১৬ বছরে আমুর হয়ে জেলার সব ধরনের ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ, নিয়োগবাণিজ্য, কমিটি গঠন, নির্বাচনী মনোনয়ন বিক্রি করতেন কিরণ। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সব টাকাই দিতেন আমুকে। কিরণের নেতৃত্বে ঝালকাঠিতে ‘চার খলিফা’র উত্থান ঘটেছিল। আর তাদের মাধ্যমে আমু হয়ে উঠেছিলেন মহাগডফাদার।

কিরণের পাশাপাশি ‘চার খলিফা’ দলীয় মনোনয়ন ও কমিটি নিয়ন্ত্রণ করতেন। পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে নলছিটি উপজেলার আওয়ামী লীগ নেতা এক ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমুর সঙ্গে দেখা করতে হলে অনুমতি নিতে হতো কিরণের। উন্নয়নমূলক সব কাজের ভাগ-বাটোয়ারা করতেন তিনি। শুধু সম্পদ ভাণ্ডারের দেখাশোনা আর পার্সেন্টেজ আদায় নয়, তার কথার বাইরে এক পা-ও চলতেন না আমু। পরিস্থিতি এমন ছিল যে আমুর ছায়া ছিলেন কিরণ।

আমির হোসেন আমুর কোনো সন্তান ছিল না। আমুর শ্যালিকা মেরী আক্তার ও কিরণ দম্পতির মেয়ে সুমাইয়া হোসেন। নিঃসন্তান আমু অনেক বছর আগে সুমাইয়াকে দত্তক নিয়েছিলেন।

আমুর মেয়ে সুমাইয়া আর কিরণের কাছেই অবৈধ আয়ের অধিকাংশ গচ্ছিত ছিল, যার প্রায় পুরোটাই এখন দুবাইপ্রবাসী তার মেয়ে সুমাইয়ার কাছে আছে বলে ধারণা সবার। সেখানে হুন্ডিসহ নানা উপায়ে বিপুল অর্থ পাচার করেছেন আমু। সেই অভিযোগের আলোকে দুদক প্রাক-তদন্ত শুরু করেছে।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আমুর ঝালকাঠির বাড়িতে বিক্ষুব্ধ জনতা হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে। ওই ঘটনার পর থেকেই কিরণ আত্মগোপনে চলে যান। এসব ব্যাপারে কথা বলার জন্য কিরণের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও পাওয়া যায়নি। এমনকি মোবাইলে খুদে বার্তা দিয়েও সাড়া মেলেনি।

আমির হোসেন আমু ব্যক্তিমালিকানাধীন জায়গা দখল করে তাঁর মা-বাবার নামে প্রতিষ্ঠিত আকলিমা মোয়াজ্জেম হোসেন ডিগ্রি কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয়দের কাছ থেকে প্রায় ছয় একর জমি জোর করে নামমাত্র মূল্যে লিখে নেন তিনি।

আকলিমা মোয়াজ্জেম হোসেন ডিগ্রি কলেজের পাশে ঝালকাঠি শহরের বিশিষ্ট লবণ ব্যবসায়ী ফজলুল হক হাওলাদারের ৩৬ শতাংশ জমি ছিল। সেই জমির ওপর আমুর নজর পড়ে। তিনি তাঁর প্রতিষ্ঠিত কলেজের জন্য সেই জমি লিখে দিতে চাপ সৃষ্টি করেন।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ফজলুল হক বলেন, ‘আমার পরিবারের এক একর ১১ শতাংশ জমি জোর করে নিয়ে যায় আমির হোসেন আমু। আমার ব্যবসায়ী অংশীদার সালেক শরীফের সঙ্গে একটি লবণের মিল নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়। মীমাংসার নামে আমির হোসেন আমু পুরো মিলের মালিকানা সালেক শরীফকে দিয়ে দেন। আমার পক্ষে কথা বলবে বলে আমু আমার কাছ থেকে নগদ পাঁচ লাখ টাকা নেন। আমু ভাইয়ের ঢাকার ইস্কাটনের বাসায় গিয়ে আমার স্ত্রী কিছু দিন কাজ করেছেন, যাতে জমিটি লিখে দিতে না হয়। কিন্তু তাতেও আমুর মন গলেনি। এক পর্যায়ে মাত্র আট লাখ টাকার বিনিময়ে বাড়িসহ ছয় শতাংশ জমি লিখে দিতে বাধ্য হই।’

একইভাবে আমির হোসেন আমু তাঁর প্রতিষ্ঠিত কলেজের জন্য আবদুর রাজ্জাক, পাদুকা ব্যবাসায়ী সম্রাট সু হাউসের মালিক নির্মল বাবু, সাবিহা কেমিক্যাল ওয়ার্কসের মালিক মো. সামসুল হক মনু ও তাঁর ভাই-বোনদের ৩৬ শতাংশসহ অনেকের জমি দখল করে নেন।

কালেক্টরেট স্কুলটির পাশেই বেগম ফিরোজা আমু ঝালকাঠি টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের ভবন নির্মাণ করার কথা ছিল।

কিন্তু প্রশাসনিক জটিলতার কারণে সেখানে আর সেই প্রতিষ্ঠানটি নির্মাণ করা হয়নি। পরে সেখানে ২০২৩ সালে বেগম ফিরোজা আমির হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নামে একটি ভবন নির্মাণ করা হয়।

এ বিষয়ে বেগম ফিরোজা আমু ঝালকাঠি টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি ও ঝালকাঠির সাবেক পৌর মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদার বলেন, ‘কলেজের ভবন নির্মাণের জন্য যে জমির প্রয়োজনে সমঝোতার মাধ্যমে একটু জমি নিয়েছি। পরবর্তী সময়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দুটি প্রতিষ্ঠানের জন্য জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।’

জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন খান সুরুজ ওরফে রাঙ্গা ভাই, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজ আল মাহমুদ, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক রেজাউল করিম জাকির ওরফে জি এস জাকির, যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল শরীফ। এদের মাধ্যমে উন্নয়ন প্রকল্পের বরাদ্দ থেকে আমু পাঁচ থেকে ১০ শতাংশ কমিশন আদায় করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

তাদের দলের নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ চার খলিফা হিসেবে চিনত। আমুর ভায়রা ও একান্ত সচিব ফকরুল মজিদ কিরণ উন্নয়নকাজের কমিশনের একটি ভাগ পেতেন। এ ছাড়া ঢাকার ইস্কাটনের বাসার আমুর ব্যক্তিগত সহকারী শাওন খানকেও কিছু ভাগ দিতে হতো। আমুর জন্য কমিশন আদায় করতে গিয়ে তাঁরা নিজেরাও শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। আমির হোসেন আমুর নাম ভাঙিয়ে ৩০-৪০ পার্সেন্টে (কমিশন) সাধারণ ঠিকাদারদের কাছে কাজ বিক্রি করে দিতেন। এর মধ্যে এলজিইডি, সড়ক বিভাগ, গণপূর্ত বিভাগ এবং স্বাস্থ্য ও শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগের অফিস খরচসহ আমুর কমিশন রেখে তারা নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করতেন।

এ বিষয়ে ঝালকাঠি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের ঠিকাদার মেসার্স মনোয়ারা এন্টারপ্রাইজের মালিক শফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন,  ‘আমি ২০১৩ সাল থেকে এলজিইডিতে কাজ করছি। লটারির মাধ্যমে কয়েকটি কাজ পেয়েছি। কিন্তু কাজ পেয়েও আমুকে পাঁচ শতাংশ হারে কমিশন দিতে হতো। আমার কাছ থেকে ৬৮ লাখ ও ৩৩ লাখ টাকার দুটি কাজের বিপরীতে চার লাখ টাকা কমিশন দিতে হয়েছে।’

আমুকে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত করা হলে তার জন্য প্রায় ৫০ পদের খাবারের আয়োজন করতে হতো। এতে লাখ টাকার বাজেট করতে হতো।

আমু যখন শিল্পমন্ত্রী ছিলেন, তখন অনুষ্ঠানের আয়োজকদের তাঁকে সোনার নৌকা উপহার দিতে হতো। একবার তাঁকে উপহার হিসেবে সোনার নৌকা দেওয়া হয়।

তার একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ ছিল ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) আসনের রাজনীতিতেও। তার প্রভাবে জেলার প্রতিটি সাংগঠনিক কমিটিতে সভাপতি-সম্পাদকসহ তাঁর মনোনীত ব্যক্তিরা স্থান পেয়েছেন। দলের ত্যাগীরা অবহেলার শিকার হয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে বিএনপিপন্থী ব্যক্তিদের দলের বড় পদে বসানোর অভিযোগ রয়েছে। এমনকি ব্যবসায়ীদের সংগঠন জেলা চেম্বার অব কমার্স, জেলা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, জেলা ক্রীড়া সংস্থা, শিল্পকলা এলাকডেমিসহ বিভিন্ন কমিটিতেও পদ পেতে আমুকে মোটা অঙ্কের টাকা দিতে হতো।

এই পোস্ট শেয়ার করুন:

এই বিভাগের আরো খবর

নামাযের সময়

সেহরির শেষ সময় - ভোর ৫:০৯
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ৫:২০
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৫:১৬
  • ১১:৫৭
  • ৩:৪১
  • ৫:২০
  • ৬:৩৮
  • ৬:৩০

বিগত মাসের খবরগুলি

শুক্র শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ
 
১০১১
১৩১৫১৬১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭৩০৩১