ঝালকাঠিতে জমি ও ঘূর্ণিঝড়ে ভেঙ্গে যাওয়া গাছের লাকড়ি নিয়ে দ্বন্দ্বে চাচার দায়ের কোপে ১৯ বছর বয়সি মাদ্রাসা ছাত্র ভাতিজা মাহফুজ নিহত হয়েছে। একই সাথে নিহতের বাবা ও মা রক্তাক্ত জখমে মুমুর্ষ অবস্থায় বরিশাল শেরই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়ে ভর্তি আছে।
শনিবার বেলা ১১টার সময় ঝালকাঠি শহরতলীর বিকনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় মোস্তফা নামে একজনকে আটক করেছে থানা পুলিশ।
এ বিষয় ঐ এলাকার বাসিন্দা হুমায়ুন কবীর বাদল জানান, ঝড়ে পড়া লাকড়ি নিয়ে বৃহস্পতিবার তর্ক হয় চাচাতো ভাই আমীর হোসেন ও কবীর হাওলাদারের মধ্যে। তখন আমির হোসেনকে মারধর করলে হাতের আঙ্গুল ভেঙে যায়। তাদের ডাকচিৎকারে স্ত্রী মুক্তা বেগম ও পুত্র মাহফুজ (১৯) বের হয়ে পাল্টা আঘাত করলে কবীরের মুখমন্ডলে জখম হয়। এনিয়ে কবীর হাওলাদার ও আমীর হোসেন পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দেন। শুক্রবার সকালে সদর থানার এসআই আরেফিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে শনিবার বিকেলে থানায় উভয়পক্ষকে বৈঠকে বসার নির্দেশ দেন।
শনিবার বিকেলে থানায় বসার কথা থাকলেও সকালে কবীর হাওলাদার তার বোনজামাই মোস্তফার কাছ থেকে দাও নিয়ে তার ভাই মনির ও সাদ্দামকে সাথে নিয়ে দলবদ্ধভাবে আমীরের ঘরে ঢুকে প্রথমে মাদ্রাসা পড়ুয়া মাহফুজকে পেয়ে বুকে কোপ দেয়। পরে আমীর ও তার স্ত্রী মুক্তা বেগম বের হলে তাদেঁরকেও কুপিয়ে জখম করে কবির হাওলাদার। এসময় আমীরের প্রতিবন্ধী সাবালিকা কন্যা সামনে গেলে তাকেও তলপেটে লাথি মেরে ফেলে দেয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ৩জনকেই সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মাহফুজকে মৃত ঘোষণা এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য আমীর হোসেন ও মুক্তা বেগমকে বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। আমীর ও মুক্তা বেগমও শঙ্কামুক্ত নন বলে জানিয়েছেন তিনি।
এ বিষয় ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. শহিদুল ইসলাম জানান, হত্যাকান্ডে সহায়তার অভিযোগে মোস্তফা নামে একজনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। মৃতদেহ ময়না তদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এখনও কোন অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।