রিপোর্ট : ইমাম বিমান: ঝালকাঠিতে এক চেয়ারম্যান এর লোলুপ দৃষ্টির কারনে পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতে না পারা এসএসসি পরীক্ষার্থী এক ছাত্রীর সংবাদ সম্মেলন। জেলার নলছিটি উপজেলাধীন রানাপাশা গ্রামের মৃত. আফজাল কাজীর মেয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী লাইজু আক্তার রানাপাশা ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান ছালাম’র বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে।
১৩ ফেব্রুয়ারী বেলা ৩ টায় ঝালকাঠি রিপোটার্স ইউনিটি কার্যালয়ে লিখিত বক্তব্যে লাইজু আক্তার বলেন, রানাপাশা ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান ছালাম বিগত ৬/৭ বছর পুর্বে বিয়ে সাদী করে কিন্তু তার অনৈতিক কর্মকান্ডের কারনে সেই স্ত্রী অন্যত্র চলে যায়। এর ফলে উক্ত চেয়ারম্যান তার চরিতার্থ কামনা লাঘবের জন্য চেয়ারম্যানের লোলুপ দৃষ্টি তার দিকে পরে এবং বিয়ের প্রস্তাব দেয় কিন্তু চেয়ারম্যানের বয়স বেশী হওয়ায় লাইজু আক্তারের পরিবার বিয়েতে রাজী হননি। তিনি লাইজু’র চাচাত বোন ১০ম শ্রেণির ছাত্রী সায়লা কে বিয়ের জন্য প্রস্তাব দেয় কিন্তু সায়লা উক্ত প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় আমাকে এ জন্য দোষারোপ করা হয়। এর পর চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান ছালাম তার লাঠিয়াল বাহিনী এমনকি চৌকিদার দিয়ে আমাদের বাড়ীতে এসে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দেয়, তখন নিরুপায় তার বিধবা মা বাধ্য হয়ে পার্শ্ববর্তী দক্ষিণ ডেবরা নিবাসী মৃত. আব্দুল আজিজ মোল্লা’র ছেলে ব্যবসায়ী ইউনুস মোল্লা’র সাথে বিবাহ দিতে বাধ্য হয়।
এতে চেয়ারম্যান ছালাম আরো ক্ষিপ্ত হয়ে তার বসতবাড়ি উত্তর রানাপাশার মোশারেফ কাজীর বাড়িতে গত ৫ ফেব্রুয়ারী আকস্মিকভাবে লাঠিসোটাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় এবং ব্যপক ভাংচুর করে লুটতরাজ চালায়, তখন ঘরে থাকা লোকজন প্রানভয়ে অন্যত্র পালিয়ে যায় সেই সুযোগে চেয়ারম্যান ছালামের লাঠিয়াল বাহিনী তখন ঘরে থাকা এক দাদী করিম মুন্সির স্ত্রী ষাটোর্ধ্ব বয়সি নেহার বেগমকে বেদম মারধর করে লাঞ্চিত করে।একই দিন দিবাগত রাত আনুমানিক ৯ টার সময় পুনরায় লাইজুকে তুলে নেওয়ার লক্ষে উক্ত লম্পট চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান ছালাম নিজে তার লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে বসত ঘরের সামনে এসে লাইজুর স্বামী ইউনুস মোল্লাকে খোঁজতে থাকে এবং দরজা খুলতে বলে তখন প্রাণভয়ে দরজা না খোলায় চেয়ারম্যান লাইজু’র স্বামী ইউনুস মোল্লাকে মিথ্যা মামলা অথবা হত্যা করে লাশ গুম করার হুমকি দিয়ে বাড়ি ত্যাগ করে। তার সাথে থাকা ক্যাডার বাহিনী পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতে বারন করে যদি কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে যায় তাহলে লাইজুসহ পরিবারের লোকজনদের শেষ করে দিবে বলে প্রকাশ্যে হুমকি দেয়। বিষয়টি ঝালকাঠি জেলা পুলিশ সুপার মোঃ জোবায়েদুর রহমানকে মুঠোফোনে জানালে তিনি গুরুত্বের সাথে দেখে এবং নলছিটি থানার ওসি সাখাওয়াত হোসেনকে উত্তর রানাপাশা গ্রামে লাইজুর বাড়িতে পাঠায় এবং আইনি সহযোগীতার আশ্বাস প্রদান করেন ওসি।