আলমডাঙ্গার জেহালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মকলেচুর রহমান শিলনের বিরুদ্ধে পরিষদের সদস্যদের বেতন ভাতা না দিয়ে রেজিস্ট্রি খাতায় স্বাক্ষর, পরিষদের আয়-ব্যয়ের হিসাবে অসঙ্গতি ও অনিয়মসহ নানা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার ইউনিয়ন পরিষদের সকল সদস্য স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট দেয়া হয়েছে। একইসাথে সেটির অনুলিপি দেয়া হয়েছে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক, চুয়াডাঙ্গায় দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা, পুলিশ সুপার ও চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদককে।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, বর্তমান চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান শিলন তাদের হুমকি-ধমকি ও ভয় দেখিয়ে বকেয়া ৫ মাসের বেতন না দিয়ে রেজিস্ট্রি খাতায় স্বাক্ষর করিয়ে নিয়ে পরিষদ থেকে বের করে দেন। সকল ওয়ার্ড সদস্যকে তার ওয়ার্ডের সরকারি অনুদান থেকে বঞ্চিত করেন। সকল ওয়ার্ড সদস্যদের সম্মানী ভাতা বকেয়া রাখলেও চেয়ারম্যান শিলন তার ক্ষমতাবলে আগস্ট-২৪ পর্যন্ত তার সম্মানী নিয়ে নেন। ট্যাক্সসহ বিভিন্ন খাত থেকে আয়-ব্যয়ের হিসাব মাসিক সভায় উত্থাপন না করে পেশি শক্তির ভয় দেখিয়ে মাসিক সভায় স্বাক্ষর করিয়ে নেন।
তিনি পরিষদের টাকায় কেনা বিভিন্ন মালামাল নিজের বাড়ি ও অফিসে ব্যবহার করছেন। তার এ ধরনের আচরণে পরিষদের সদস্যবৃন্দ কোনো কূলকিনারা পাচ্ছেন না। অভিযোগপত্রে সকল ওয়ার্ড সদস্যদের বকেয়া সম্মানী পাওয়ার ব্যাপারে সহযোগিতা এবং চেয়ারম্যানের নানাবিধ অসঙ্গতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়।
ওই অভিযোগপত্রে ইউপি সদস্য আরিফা খাতুন, লাভলী খাতুন, পিনজিরা খাতুন, রহিদুল হক, মঞ্জুরুল করিম লিপন, জসিম উদ্দীন, আহসান হাবিব, হাসেম মাহমুদ, লিপন হোসেনসহ সকল ইউপি সদস্য স্বাক্ষর করেছেন।