নিউজ ডেস্ক:
পর্ন ভিডিও দেখার আসক্তি কিশোর থেকে শুরু করে বড়দের অনেকের মধ্যেও রয়েছে। সাধারণত পর্ন ভিডিও ডাউনলোড করে অথবা বিভিন্ন পর্ন সাইটে গিয়ে পর্ন দেখার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়।
কিছু-কিছু ক্ষেত্রে অনলাইনে পর্ন ভিডিও দেখার সময় ব্যবহারকারীর ই-মেইল অ্যাড্রেস চাওয়া হয়। সেক্ষেত্রে ই-মেইল অ্যাড্রেস না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রযুক্তিবিদরা। ই-মেইল অ্যাড্রেস দিলে ব্যবহারকারীর তথ্য পেয়ে যায় অপরাধ চক্র। সেই তথ্য ব্যবহার করে হ্যাকাররা আপনার বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে ফেলতে পারে।
এ বিষয়ে ব্রিটেনের নিরাপত্তা সংস্থা ওয়ান্ডেরা বলছে, আপনি যখন আপনার মোবাইলে পর্ন দেখছেন, তখন তা রেকর্ড করে ফেলতে পারে হ্যাকাররা। পরে তা প্রকাশ করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে বিপুল টাকা আদায় করতে পারে ইন্টারনেট দস্যুরা।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, থ্রি এক্স রেটের পর্ন সাইট থেকে বেশিরভাগ ম্যালওয়্যার তৈরি হয়। অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম পর্ন দেখার ক্ষেত্রে মোটেই নিরাপদ নয়। তবে মোবাইল ফোনের তুলনায় অনেকটা নিরাপদ ডেক্সটপ।
বিপদটা হলো- পর্ন দেখার সময় মোবাইলের ক্যামেরা দিয়েই তা রেকর্ড করে ফেলতে পারে হ্যাকাররা। পরে সেটা নিয়ে ব্লাকমেইলিং করার আশঙ্কা থাকে।
এছাড়া পর্ন আসক্তির ফলে আপনার শারিরীক ক্ষতি তো রয়েছেই। ঘন ঘন আপনি অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। কাজ-কর্মে উদাসীনতা দেখা দিতে পারে। মেজাজ খিটখিটে থাকতে পারে। হারাতে পারেন স্মৃতিশক্তিও।
নিজের মধ্যে সবসময় একধরনের অপরাধবোধও কাজ করে। পর্ণ আসক্তির কারণে পরিবারের সাথে সম্পর্ক খারাপ হয়, পড়াশোনায় ক্ষতি হয় এমনকি নিজের মধ্যেও হীনমন্যতার সৃষ্টি হয়। যারা নিয়মিত পর্ণ সিনেমা দেখে তাদের রুচি বিকৃত হয়ে যায়। জীবনের স্বাভাবিক সম্পর্ক গুলোতেও নিজের অজান্তে বিকৃতি খোঁজে তাদের চোখ। যৌন জীবনে নানান সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়।
পর্ণ আসক্তদের মোবাইলে, কম্পিউটারে, পেন ড্রাইভে সব খানেই পর্ণ ছবি থাকে অধিকাংশ সময়। অনেক সময় এসব অনৈতিক বিষয় গুলো পরিবারের কাছে ধরা পড়ে যায়। ফলে পরিবারের কাছে হেয় হতে হয় পর্ণ আসক্তদেরকে। এছাড়াও সমাজের মানুষজন, বন্ধুবান্ধব বিষয়টি জেনে গেলে তাদের কাছেও হেয় হতে হয় তাদেরকে।