নিউজ ডেস্ক:
যে কোন বয়সের মানুষেরই খুশকির সমস্যা হতে পারে, তবে টিনএজার ও প্রাপ্তবয়স্কদের বেশি হয়ে থাকে। এটা বিরক্তিকর ও অস্বস্তিকর একটি সমস্যা। মাথার তালু শুষ্ক হলে অথবা সেবোরহেইক ডারমাটাইটিস এর জন্য সাধারণত খুশকি হয়। তবে এই সমস্যার সমাধান আছে। কিছু ঘরোয়া পদ্ধতিতেই নিয়ন্ত্রণ করা যায় এই সমস্যা।
১। নারিকেল তেল
খুশকির চিকিৎসায় নারিকেল তেল প্রয়োগ কার্যকরী প্রমাণিত হয়েছে। গোসলের আগে ৩-৫ টেবিল চামচ নারিকেল তেল মাথার তালুতে লাগান এবং এক ঘন্টা রাখুন। তারপর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
২। লেবু
খুশকি দূর করতে লেবু চমৎকার কাজ করে। গোসলের আগে মাথার তালুতে ভালো ভাবে লেবু ম্যাসাজ করুন। কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। লেবু খুশকি দূর করার পাশাপাশি চুলের আঠালো ভাব দূর করে এবং উজ্জ্বলতা দান করে।
৩। ভিনেগার
খুশকি দূর করার জন্য সবচেয়ে কার্যকরী উপাদান হচ্ছে ভিনেগার যা সস্তা ও সহজ লভ্য। আপেল সিডার ভিনেগার বা সাদা ভিনেগার দুইটাই খুশকি নির্মূলের কাজে ব্যাবহার করা যায়। এক কাপের ৪ভাগের ১ ভাগ ভিনেগার এবং ৪ ভাগের ৩ভাগ পরিমাণ পানি একসাথে মিশিয়ে চুল ধোয়ার পর ব্যাবহার করুন। ভিনেগার দেয়ার পর আর চুল ধোবেন না। তোয়ালে দিয়ে মুছে নিন। চুল শুকানোর সাথে সাথে ভিনেগারের গন্ধও চলে যাবে। যতদিন না খুশকি দূর হচ্ছে নিয়মিত ভিনেগার ব্যবহার করুন।
৪। মাউথওয়াশ
খুশকির সমস্যা দূর করার জন্য মাউথ ওয়াশ ব্যাবহার করলে উপকার পাওয়া যায়। খুশকির সমস্যা অনেক বেশি হলে চুল ধোয়ার পর মাথার তালুতে মাউথ ওয়াশ লাগান। এভাবে ৫-১০মিনিট রেখে চুল ধুয়ে ফেলুন। চোখে যেন না লাগে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। সপ্তাহে একবার এটা করতে পারেন।
৫। নিম
নিমে ছত্রাক নাশক ও ব্যাকটেরিয়া নাশক উপাদান আছে। তাই শুধু খুশকি দূর করার জন্যই না মাথার তালুর ব্রণ, চুলকানি এবং চুল পড়া বন্ধ করতেও নিম ব্যাবহার করা হয়। নিমকে ইন্ডিয়ান লাইলাক ও বলা হয়। চার কাপ পানিতে এক মুঠো নিম পাতা দিয়ে সিদ্ধ করুন। ঠান্ডা করে মিশ্রণটি ছেকে নিন। এই মিশ্রণটি চুলে ব্যবহার করুন সপ্তাহে ২-৩বার।
সূত্র: রিডারস ডাইজেস্ট ও লিস্টডোজ