বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৫
বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৫

জেনে নিন কোন খোসার কী গুণ ?

নিউজ ডেস্ক:

সাধারণত কিছু ফল এবং সবজি খাওয়ার পর আমরা এর খোসাগুলো ফেলে দেই ময়লার ঝুড়িতে। কিন্তু এই ফেলনা খোসারও রয়েছে অনেক উপকার। অনেকেই হয়ত জানেনই না, এই ফেলে দেওয়া ফলের খোসাগুলো আমাদের কতটা কাজে আসতে পারে। শুধু রূপচর্চায় নয়, বরং স্বাস্থ্য সুরক্ষায়ও অনেক কার্যকরী এসব খোসা। কাজেই শসা, গাজর, আপেল প্রভৃতি যাই খান না কেন খোসা সমেত খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে বেশি উপকার পাবেন। এবার জেনে নিন কোন খোসার কী গুণ আছে-

আপেল আপেলের শাঁসের তুলনায় এর খোসায় ৮৭ শতাংশ বেশি ফাইটোকেমিক্যাল রয়েছে। যা ক্যান্সার রুখতে সাহায্য করে।

কলা কলার খোসায় ভিটামিন বি৬, বি১২, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম রয়েছে। এর শাঁসের তুলনায় খোসায় ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকায় তা হজমেও সাহায্য করে।

কমলালেবু একটি কমলালেবুতে যে পরিমাণ ফাইবার থাকে তার চেয়ে চার গুণ বেশি ফাইবার থাকে এর খোসায়। এতে ফ্লাভনয়েড থাকায় তা ক্ষতিকর আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে কমলা লেবুর খোসা। এছাড়া ত্বকের ক্যান্সার রুখতেও উপকারী এই খোসা।

আলু আলুর শাঁসের থেকেও ১৭ গুণ বেশি আয়রন থাকে আলুর খোসায়। কাজেই এটিও ফেলে দিবেন না।

শশা শশার খোসা খেতে যেমন উপকারী, তেমনই ত্বকের বিভিন্ন সমস্যায়, রোদে পোড়া দাগ, চোখের কোলের কালি দূর করতেও দারুণ কাজ করে শশার খোসা।

তরমুজ বাইরের সবুজ খোসা নয়, ভিতরের সাদা নরম খোসা দারুণ উপকারী। তাই শুধু লাল অংশ খেয়েই তরমুজ ফেলে দেবেন না, সাদা অংশ মুখে মাখলেও উপকার পাবেন।

গাজর টমেটো বা লাল ক্যাপসিকাম আমরা খোসা সমেতই খাই। কমলা রং হওয়ার কারণে গাজরের খোসাও সমান উপকারী।

লেবু লেবুর খোসা হাড় ও দাঁতের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে যেমন সাহায্য করে, তেমনই শরীর থেকে টক্সিন দূর করে ওজন কমাতেও সাহায্য করে।

আম অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট হিসেবে দারুণ কাজ করে আমের খোসা। কোলেস্টেরল কমাতে যেমন সাহায্য করে, তেমনই হজমেও সাহায্য করে আমের খোসা।

লাউ লিভার পরিষ্কার রাখতে, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ও ওজন কমাতে দারুণ উপকারী লাউয়ের খোসা।

Similar Articles

Advertismentspot_img

Most Popular