বুধবার, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৫
বুধবার, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৫

জুলাইয়ে মূল্যস্ফীতি কমেছে !

নিউজ ডেস্ক:

চলতি বছরের জুন মাসের তুলনায় জুলাইয়ে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে। জুলাইয়ে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৫৭ শতাংশে। যা জুনে ছিল ৫ দশমিক ৯৪ শতাংশ। জুলাই মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতির পাশাপাশি খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতির হারও কমেছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
গত বুধবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, গত মে মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন তেল, চিনি এবং চালের দাম বেড়েছিল। এ কারণে জুন মাসে মূল্যস্ফীতি বেড়েছিল। এখন চালের দাম কিছুটা বাড়তে থাকলেও সয়াবিন ও চিনির দাম কমেছে। তাই মূল্যস্ফীতি কমেছে। তিনি আরো বলেন, আশা করছি, সামনের দিনগুলোতে পণ্যের দাম আরো কমবে। ফলে মূল্যস্ফীতিও কমে আসবে।

বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে জুলাইয়ে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৫৭ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৯৪ শতাংশ। খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৯৫ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৭ দশমিক ৫১ শতাংশ। এ ছাডা খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৫৩ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ।

জুলাই মাসে গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৪১ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ। খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৮৬ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৭ দশমিক ২০ শতাংশ। এ ছাড়া খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ৮৪ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ২ দশমিক ৯৪ শতাংশ।

অপরদিকে শহরে জুলাই মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৮৬ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ। খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ১৫ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৮ দশমিক ২১ শতাংশ। এ ছাড়া খাদ্যবহির্ভূত মুল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৪৮ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৪ দশমিক ৬৭ শতাংশ।

Similar Articles

Advertismentspot_img

Most Popular