নিউজ ডেস্ক:
মজুমদার গেট, গুজরাটের জুনাগড়ের এই ব্যস্ত এলাকাতেই দিনের বেশিরভাগ সময়টা কাটে মনসুখ ভাইয়ের। শখে নয় পেশার তাগিদে। পেশা কী? নিত্যযাত্রীদের জুতো পলিশ করা, প্রয়োজনে জুতো সারিয়ে দেওয়া৷ এভাবেই কোনমতে চলে যাচ্ছিল জীবন। আচমকা যেন বজ্রাঘাতের মতো এল আয়কর দফতরের নোটিশ। অভিযোগ, বেআইনিভাবে ১০ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে তাঁর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে৷ এর সদুত্তর দিতে বলা হয়েছে মনসুখভাইকে। যদি তা তিনি না করতে পারেন, তাহলে কড়া আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে তাঁর বিরুদ্ধে।
জুতো পালিশ ও সারাই করে দিনের শেষে কোনওমতে ১০০ টাকা মতো জোটে। কোনও কোনও দিন তাও জোটে না৷ সেখানে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার কথা অতি বড় স্বপ্নেও ভাবতে পারেন না বলে জানান মনসুখভাই। কোথা থেকে, কেমন করে তাঁর নামে এই অ্যাকাউন্ট উদয় হল? কেমন করেই বা তাতে এত টাকার লেনদেন হল? তা এখনও বুঝে উঠতে পারছেন না তিনি। এমনকী, আয়কর কী বস্তু সেই সম্পর্কেও কোনও ধারণা নেই তাঁর।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের পর থেকেই মনসুখভাইয়ের নামে এই অ্যাকাউন্টের হদিস পাওয়া গেছে৷ অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা নেওয়া এবং দেওয়া তারপর থেকেই শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের পর থেকেই সারা দেশে কালো টাকার কারবারিদের মাথায় হাত পড়েছিল। বেআইনি নগদ টাকা বদলের জন্য অনেকেই অনেক পথ অবলম্বন করেছেন। তেমনই কোনও বেআইনি কাজ এক্ষেত্রে হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। তবে মনসুখ ভাইয়ের মাথায় এখন একটাই চিন্তা। আয়কর দফতরের এই নোটিশের উত্তরে তিনি কী বলবেন?
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন