ওই পৌরসভার প্রধান কার্লিতো কার্নাল তার এলাকায় ডেঙ্গু রোগে দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর প্রতি পাঁচটি মশার জন্য এক পেসো (দুই ইউএস সেন্টেরও কম) পুরস্কারের ঘোষণা দেন।
কার্নাল বলেন, এই পুরস্কারটি আগে থেকে প্রচলিত ব্যবস্থা যেমন রাস্তা পরিষ্কার করা এবং মশা প্রজননের জন্য পানির সঞ্চয় ঠেকানোর সঙ্গে সম্পূরক হিসেবে দেওয়া হচ্ছে।
পুরস্কারের আওতায় জীবিত এবং মৃত মশা, পাশাপাশি মশার লার্ভাও পড়বে, জানান কার্নাল। জীবিত মশাগুলো আল্ট্রাভায়োলেট লাইট ব্যবহার করে নিষ্পত্তি করা হবে।
একটি মন্তব্যে লেখা হয়, ‘মশা চাষ শুরু হতে যাচ্ছে,’ অন্য এক মন্তব্যে লেখা ছিল, ‘একটি মশা কি যদি এক পাখা নিয়ে আসে, তবে তাকে বাতিল করা হবে?’
ফিলিপাইনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, তারা স্থানীয় সরকারের উদ্যোগের প্রতি কৃতজ্ঞ, তবে মশা ধরতে অর্থ দেওয়ার পদ্ধতিটি ডেঙ্গু প্রতিরোধে কার্যকর কিনা তা নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন।
তারা আরও জানায়, ‘আমরা সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করছি, তাদের স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের বা ফিলিপাইনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় -এর আঞ্চলিক অফিসের সঙ্গে পরামর্শ করতে, যারা প্রমাণভিত্তিক পদ্ধতির পরামর্শ দিতে পারেন।’
ডেঙ্গু হচ্ছে ট্রপিক্যাল অঞ্চলের একটি রোগ যা শহরাঞ্চলে প্রাদুর্ভাব ঘটে, যেখানে খারাপ স্যানিটেশন মশার বংশবৃদ্ধির জন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করে।
গম্ভীর অবস্থায়, ডেঙ্গু অভ্যন্তরীণ রক্তস্রাব সৃষ্টি করতে পারে, যা মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এর উপসর্গে মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব, জয়েন্ট এবং মাংসপেশীতে ব্যথা অন্তর্ভুক্ত।
অ্যাডিশনাল হিলস নামের ওই এলাকাটিতে ৭০ হাজার মানুষ বাস করেন। সাম্প্রতিক সময়ে সেখান ৪৪ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে।
‘এটি অন্যতম বৃহত্তম এবং ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। আমাদের কিছু করতে হবে, যাতে স্থানীয় সরকার সাহায্য পেতে পারে,’ কার্নাল বলেন।
জাতীয় কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি দেশব্যাপী ডেঙ্গু সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছে, বিশেষত মৌসুমি বৃষ্টির কারণে।
ফিলিপাইনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ২৮ হাজার ২৩৪টি ডেঙ্গু রোগের ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় ৪০ শতাংশ বেশি।
ফিলিপাইনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জনসাধারণকে তাদের পরিবেশ পরিষ্কার রাখতে, মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করতে, দীর্ঘ হাতা শার্ট এবং প্যান্ট পরিধান করতে এবং মশা প্রতিরোধক ব্যবহার করতে পরামর্শ দিয়েছে।
সূত্র- বিবিসি।