মানববন্ধনে আবেদা খাতুনের মেয়ে, ভাইয়ের বউসহ এলাকাবাসী অংশগ্রহণ করেন। এসময় আবেদার মেয়ে জুঁই খাতুন বলেন, ‘মা-বাবার ডিভোর্সের পর থেকে আমি নানার বাড়িতে বড় হয়। আমার মা একজন খারাপ প্রকৃতির মহিলা। আমার ২২ বছর বয়সে তিনি আমাকে একাধিকবার বিয়ে দিয়েছেন। তাদের কাছ থেকে ডিভোর্স দিয়ে দেন-মোহরের টাকা নেওয়ায় তাঁর ব্যবসা। কোনো স্বামীর সঙ্গেই তিনি আমাকে সংসার করতে দেন না। আমার ৮ বছর বয়সী একটা কন্যা সন্তান রয়েছে। সর্বশেষ মিন্টু রহমানের সাথে আমার বিয়ে হয়। তাঁর সাথেও গত ১০ই এপ্রিল জোরপূর্বক আমাকে ডিভোর্স করতে বাধ্য করেন।
আমার মা আমাকে দিয়ে খারাপ কাজ করাতে চান। তবে আমি মিন্টু রহমানের সাথে পুনরায় সংসার করতে চাইলে আমার মামা নজরুল ইসলাম, মিন্টুর সাথে আমাকে আবারও বিয়ে দেন। বিয়ে দেওয়ার কারণে আমার মা আমাদেরকে বাড়ি থেকে বের দেন। বর্তমানে স্বামীকে নিয়ে আমি মামার বাড়িতেই অবস্থান করছি। মামা আমাকে আশ্রয় দেওয়ার কারণে আমার মা তাঁর সঙ্গে সবসময় ঝগড়া বিবাদ করতে থাকে এবং আমার মামাকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে বলে তোকে অবৈধ মামলা দিয়ে ধরিয়ে দেবো।
আমার মা অনৈতিক কাজের সাথে জড়িত। তাঁর বাড়ি সবসময় বিভিন্ন ধরনের অপরিচিত লোক চলাফেরা করে। গত ১১ই মে রাত ৯টার দিকে আমাদের বাড়ির পাশে বাঁশবাগানে ২জন পুরুষ ও ২জন মহিলা অবস্থান করছিল। তাঁদের পরিচয় জিজ্ঞাসা করাতে আমার মা আমার উপর ক্ষিপ্ত হয় এবং আমাকে মারধর করে।
একপর্যায়ে আমার মামা ও প্রতিবেশিরা আমাকে রক্ষা করতে আসলে ঘরের দেয়ালে ঘর্ষণ লেগে আমার মায়ের কপাল একটু কেটে যায়। এ ঘটনায় আমার মা থানায় মামলা দায়ের করলে মামাকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। আমি এই হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার এবং আমার মায়ের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। মায়ের কারণে আর কোনো মেয়ের সংসার যেনো এভাবে বার বার ভেঙে না যায়।’ মানববন্ধন আবেদার বউসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন।
তবে এসব বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে রাজি হননি আবেদা খাতুন।