নিউজ ডেস্ক: ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার আশুরহাট গ্রামে জমির মালিককে জখম করে জমি থেকে ধান লুটের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার সকালে আশুরহাট গ্রামের পূর্ব মাঠে ধান কাটতে যাওয়া জমির মালিকগণ এ হামলার শিকার হন।
শৈলকুপা থানায় একটি লিখিত অভিযোগে আশরাফুল ইসলাম জানান, শৈলকুপা থানাধীন ১৬০ নং আশুরহাট মৌজার পূর্ব মাঠে ৬৫২ দাগের এক একর ১৬ শতক জমি, আশরাফুল, আলী হাসান, শহিদুল ইসলাম, আজাদুর রহমান আমাদের এই চার ভাইয়ের নামে ক্রয়কৃত সম্পত্তি। ক্রয়কৃত জমিতে আমরা চার বছর যাবৎ চাষাবাদ করছি। এবার ঐ জমিতে ইরি ধান লাগানো হয়েছে। এখন ধান কাটার সময় আমরা ৫/৬ জন মিলে ধান কাটাতে যায়। কিন্তু পাশ্ববর্তী গ্রামের মৃত বিলাত আলী শেখের ছেলে মোঃ তফসের শেখ (৫৬), মোঃ তেজারত শেখ(৫৩), নিজার শেখ(৫০) ও মোঃ তফসের শেখের ছেলে মোঃ নাসির উদ্দিন (৩৩), মোঃ ওহাব জোয়ার্দ্দারের ছেলে মোঃ জাহাঙ্গীর হোসে (৩৪),মৃত ইশারত আলীর ছেলে মোঃ শহিদুল ইসলাম(৪০), লিয়াকত জোয়ার্দ্দারের ছেলে মোঃ জুলহাস(৩০), খালেক শেখের ছেলে মোঃ জিবরুল ইসলাম(৩০), মৃত ছাত্তার শেখের ছেলে মোঃ মোশা শেখ(৩৪), মোঃ জামবু শেখের ছেলে মোঃ কামাল শেখ (৩০) সহ ১০/১৫ জন পূর্ব পরিবল্পিত ভাবে হাতে দেশীয় তৈরী বিভিন্ন ধরণের মারাত্বক অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে বে-আইনী ভাবে আমাদের ধানের জমিতে প্রবেশ করে। ধান কাটা বন্ধ করার কথা বলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। আমরা তাদেরকে গালিগালাজ করিতে নিষেধ করলে তফসের শেখের হুমুকে সবাই আমাদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে। তারা দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর এলোপাতাড়ি ভাবে কোপাইতে থাকে। আমাদের ডাক চিৎকারে মাঠে কর্মরত ও গ্রামের লোকজন ছুটে আসলে খুন করার হুমকি দিয়ে তারা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এবং এঘটনায় আজাদুর রহমানর, শহিদুর রহমান, আলী হাসান, সজিব গুরুতর আহত হয়। পরবর্তীতে লোকজনের সহযোগীতার জখমীদের চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সজিবের অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় কর্তব্যরত ডাক্তার সজিবকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকের কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। বাকিরা ঝিনাইদহ সরদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এঘটনায় আশরাফুল ইসলাম বাদী হয়ে শৈলকুপা থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন।