নিউজ ডেস্ক:
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের হেকেপ (উচ্চ শিক্ষা মান উন্নয়ন প্রকল্প) একাডেমিক ইনোভেশন ফান্ডের (তৃতীয় রাউন্ড) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগ প্রাপ্ত ‘মডার্নাইজেশন অব আন্ডার গ্রাজুয়েট অ্যান্ড পোস্ট গ্রাজুয়েট এডুকেশন এনভায়রনমেন্ট ফর বেটার লার্নিং আউটকাম’ শীর্ষক উপ-প্রকল্পটি ২০১৪ সালে পুরস্কার পায়।
গত সোমবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাব-প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট টিম থেকে বিভাগীয় চেয়ারম্যান বাস্তবায়িত কার্যক্রম উপাচার্যকে অবহিত করেন।
উপ-প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য ছিল- টিচিং লার্নিং এনভায়রনমেন্ট ডেভেলপমেন্ট, গবেষণা সুবিধা আধুনিকায়ন, সেমিনার লাইব্রেরি সমৃদ্ধকরণ, শিক্ষকদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং ব্যবহারিক ও গবেষণা কার্যক্রমের জন্য বোটানিক্যাল গার্ডেনের উন্নতি সাধন।
এই উপ-প্রকল্পের মেয়াদকালে (জুলাই ২০১৪ থেকে ফেব্রুয়ারি ২০১৭) শ্রেণিকক্ষ, ল্যাবরেটরি, সেমিনার লাইব্রেরি, অফিস কক্ষসমূহ সংস্কার ও বোটানিক্যাল গার্ডেনের উন্নয়ন করা হয়। এ ছাড়া মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর, ল্যাপটপ, স্ক্যানার, প্রিন্টার, ফটোকপিয়ার, ফ্যান, এয়ার কন্ডিশনার, বই, জার্নাল, ফার্নিচার, সাউন্ড সিস্টেম কেনার মাধ্যমে বিভাগ আধুনিকীকরণ করা হয়। গবেষণা ও ব্যবহরিক ক্লাস সুষ্ঠুভাবে নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় আধুনিক যন্ত্রপাতি, ক্যামেরা সম্বলিত এডভান্সড রিসার্চ মাইক্রোস্কোপ, বাইনোকুলার রিসার্চ মাইক্রোস্কোপসহ অন্যান্য রাসায়নিক দ্রব্যাদি কেনা হয়।
উপ-প্রকল্পটি যথাসময়ে সফলভাবে সম্পন্ন করায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এটি সর্বপ্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পন্ন হওয়া হেকেপ উপ-প্রকল্প, যা উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
উপ-প্রকল্পের সাব-প্রজেক্ট ম্যানেজার ও বিভাগীয় চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাসনা হেনা বেগম সাব-প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট টিমের সদস্য ও বিভাগীয় শিক্ষকদের উপ-প্রকল্পের কাজে সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। উপ-প্রকল্পের ডেপুটি সাব-প্রজেক্ট ম্যানেজার সহকারী অধ্যাপক এ এম এম গোলাম আদমকে নিষ্ঠা ও দায়িত্বের সাথে উপ-প্রকল্প বাস্তবায়ন করায় বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান তিনি। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ওহিদুজ্জামান, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আতাউল গনি, প্রভাষক মোহাম্মাদ আলী উপস্থিত ছিলেন।