নিউজ ডেস্ক:
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের দুটি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটেছে। এতে তিনজন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে শান্ত নামের একজনের অবস্থা গুরুতর। গতকাল রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভবনের সামনে এ সংঘর্ষ ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দুটি গ্রুপের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ সালের ডায়েরি, ওয়াল ক্যালেন্ডার ও ডেস্ক ক্যালেন্ডার মূদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহ সংক্রান্ত দরপত্র জমা দেওয়ার নির্ধারিত সময় ছিল রোববার দুপুর ১২টা পর্যন্ত। সকালে ময়মনসিংহ গ্রুপ হিসেবে পরিচিত তানভির রহমান, হারুন-অর-রশিদ, আনিসুর রহমান শিশির, জহির রায়হান আগুনের নেতৃত্বে একটি টেন্ডার জমা দেওয়া হয়। এরপর তাদের অনুসারীরা নতুন ভবনের সামনে অবস্থান নেন। পৌনে ১২টার দিকে জবি ছাত্রলীগের সদ্য বিদায় নেওয়া সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলামের অনুসারী জুয়েল রানা ‘সরকার ট্রেডার্সের’ নামে একটি টেন্ডার জমা দিতে গেলে ময়মনসিংহ গ্রুপের কর্মী নাদিমের নেতৃত্বে সিরাজুল ইসলামের অনুসারীদের ওপর হামলা চালানো হয়। এ সময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।
ওই ঘটনার ছবি তুলতে গেলে আব্দুল ওহাব নামের এক শিক্ষার্থীকে মারধর করে তারা। ওহাবকে উদ্ধার করে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং পরে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ সময় ইতিহাস বিভাগের আরিফুল ইসলাম নামের সিরাজ গ্রুপের এক কর্মীকেও মারধর করে ময়মনসিংহ গ্রুপের কর্মীরা। পরে কোতোয়ালি থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এদিকে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে সিরাজ গ্রুপের কর্মীরা ময়মনসিংহ গ্রুপের কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এসময় শান্ত নামের এক ছাত্রলীগ কর্মীর উপর চড়াও হয় তারা। তাকে বেদম প্রহার এবং একপর্যায়ে পিঠে ছুরিকারাঘাত করা হয়। তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে জবি প্রক্টর ড. নূর মোহাম্মাদ বলেন, আহতদেরকে উদ্ধার করে মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে।