নাটোর জেলা সংবাদদাতাঃ সারাদেশের ন্যায় নির্বাচনী হাওয়া বইছে নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনেও। এ আসনে আওয়ামীলীগ-বিএনপির বাইরেও শক্তি সঞ্চয়ে আছে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। এ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী তালিকায় কেন্দ্রীয় ভাইস-চেয়ারম্যান আবু তালহা ও নাটোর জেলা জাপার যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সোহেল রানার নাম থাকলেও মাঠে এ্যাড. সোহেল রানা ছাড়া দলের অপর প্রার্থীকে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না।
নাটোর-১ আসনে জাতীয় পার্টির অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে শনিবার (১৭ই নভেম্বর) নীলকন্ঠ কে দেয়া এক সাক্ষাতকারে এ্যাড. সোহেল রানা বলেন, জনতার দাবী আদায়ে লাঙ্গলের কোন বিকল্প নেই, লালপুর-বাগাতিপাড়ায় আগের তুলনায় জাতীয় পার্টি অনেক শক্তিশালী। পল্লীবন্ধু এরশাদের শাসন আমল ছিলো দেশের জন্য এক স্বর্ণযুগ, যেখানে সাধারাণ মানুষ স্বাভাবিক জীবন যাপনের এক নিশ্চয়তা পেয়েছে। খুন গুমের কোন ভয় ছিলোনা, ছিলোনা কোন জালাও পোড়াও রাজনীতি। সাধারণ মানুষ আজও এরশাদ স্যার ও জাতীয় পার্টিকে পাগলের মত ভালবাসে।
দলের প্রার্থী হিসেবে এ্যাড. সোহেল রানার অবস্থান জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি সাধারণ মানুষের কাছে পল্লীবন্ধুর উন্নয়নের বার্তা পৌছে দেয়ার, যাতে করে তরুণ প্রজন্ম জানতে পারে পল্লীবন্ধুর শাসন আমল কেমন ছিলো। জোট হোক বা একক এরশাদ সাহেব যদি আমাকে এ আসনের জন্য যোগ্য প্রার্থী মনে করে মনোনয়ন দেন তবে আমি যে কোন দলের প্রার্থীর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে প্রস্তুত।
দলের অপর প্রার্থী আবু তালহার অবস্থান জানতে চাইলে এ্যাড. সোহেল রানা বলেন, তিনিও জাপার মনোনয়ন প্রত্যাশী, তবে মনোনয়ন নিশ্চিতের ব্যাপারে দলের হাইকমান্ড অবশ্যই প্রার্থীর ব্যাক্তি গ্রহণ যোগ্যতা ও নির্বাচনী এলাকায় প্রার্থীর অবস্থান যাচাই করবেন। তবে টেলিভিশন ও পত্রিকার বরাত দিয়ে জানতে পেরেছি তিনি বর্তমানে দুদকের দূর্নীতি মামলার আসামী আছেন।
নাটোর-১ আসনের নির্বাচনী এলাকায় আরো খোজ খবর নিয়ে জানা যায় বিগত দুই-তিন বছরের মধ্যে কোন দলীয় সভা সমাবেশ করেননি আবু তালহা। গত ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনে তার মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ার পর থেকেই তিনি এলাকায় খুব একটা আসা যাওয়া করেন না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আবু তালহা সমর্থিত জাতীয় পার্টির একাধিক নেতা নীলকন্ঠ কে জানান, এমপি সাহেব বলেছেন টিকিট দেবে কেন্দ্র এলাকায় থাকার কোন প্রয়োজন নেই, টিকিট নিশ্চিত হলে তার পরেই মাঠে নামবো।
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সাক্ষরিত একটি সাংগঠনিক চিঠি সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা বলেন, এরশাদ স্যার বলেছে নির্বাচনী এলাকায় দলকে সাংগঠনিক ভাবে সু-সংগঠিত করার জন্যে তাই তিনি মাঝে মধ্যে এসে দুই উপজেলায় (লালপুর-বাগাতিপাড়া) কমিটি গঠনের নির্দেশনা প্রদান করেন।
এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ভাইস-চেয়ারম্যান সাবেক এমপি আবু তালহার সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় দেওয়া মাত্রই ফোন বারবার কেটে দেন।