নিউজ ডেস্ক:
চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) বা ছয় মাসে দেশে গড় মূল্যস্ফীতি ছিল ৫.৫১ শতাংশ। যা গত অর্থবছরের তুলনায় দশমিক ৬৮ শতাংশ কম। আর এই মূল্যস্ফীতির হার লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও কম। গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদে পঞ্চদশ অধিবেশনে অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক অগ্রগতি সংক্রান্ত প্রতিবেদন উপস্থাপনকালে অর্থপ্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান এ তথ্য জানান।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত দেশের বাইরে থাকায় তার পক্ষে তিনি এ প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জনজীবনে স্বস্তি বজায় রাখতে মূল্যস্ফীতিকে আমরা সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সক্ষম হয়েছি। এক্ষেত্রে বিরাট সাফল্য আমাদের রয়েছে। ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৫১ শতাংশ। যেখানে গত অর্থবছরের ওই একই সময় মূল্যস্ফীতি ছিল প্রায় ৬ দশমিক ১৯ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে মূল্যস্ফীতির বছরভিত্তিক লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৮ শতাংশ। অর্থাৎ মূল্যস্ফীতির হার লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও কম।
প্রতিবেদনে বলা হয়, খাদ্য মূল্যস্ফীতি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস পেলেও খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। খাদ্য মূল্যস্ফীতি ২০১৫ সালের ডিসেম্বর হতে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ৪ দশমিক ৫১ শতাংশে নেমে এসেছে।
এ বিষয়ে বলা হয়, সন্তোষজনক কৃষি উৎপাদন, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের স্থিতিশীল মূল্য, অনুকূল মূদ্রা সরবরাহ পরিস্থিতি এবং সর্বোপরি স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশে দেশব্যাপী পণ্য সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে বিধায় সামনের দিনগুলোতে মূল্যস্ফীতি আর বাড়বে না বলেই বিশ্বাস।
এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে গতকাল বিকেল ৫টা ১৯ মিনিটে সংসদ অধিবেশন শুরু হয়।