নিউজ ডেস্ক:
আমেরিকা-জাপান-দক্ষিণ কোরিয়ার দিকে ছুটে আসা উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র মোকাবেলায় আজ থেকে দু’দিনের মহড়া শুরু করেছে তারা। দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানের উপকূলে এই মহড়া চলবে।
উত্তর কোরিয়ার যেকোন ক্ষেপণাস্ত্র বা পরমাণু হুমকি মোকাবেলার প্রস্তুতি নেওয়াই এই মহড়ার উদ্দেশ্য বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার নৌবাহিনীর এক মুখপাত্র।
মুখপাত্র আরও জানান, ‘নর্দার্ন লিমিট লাইন নামে পরিচিত সাগরের সীমান্তের দক্ষিণাঞ্চলে জাপান অবস্থিত। এই মহড়ার মাধ্যমে সাগরে উত্তর কোরিয়ার উত্তেজনা সৃষ্টির বিরুদ্ধে প্রস্তুতি বাড়ানোর পাশাপাশি যৌথ অভিযানের সক্ষমতাও বাড়ানো হবে। ‘ এদিকে এর আগে এশিয়ায় বৃহত্তম মার্কিন রণতরি ইউএসএস রোনাল্ড রিগ্যানের নেতৃত্বাধীন স্ট্রাইক গ্রুপ দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান বন্দরে ভিড়েছে। জাতিসংঘ এবং মার্কিন নিষেধাজ্ঞাকে উপেক্ষা করে উত্তর কোরিয়া পরমাণু্ এবং ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা অব্যাহত রেখেছে। এখনও পর্যন্ত দেশটি ছয় বার পরমাণু বোমার পরীক্ষা করেছে। তাছাড়া চলতি বছরের শেষের দিকে উত্তর কোরিয়ার হাতে থাকবে ২০টি পারমাণবিক বোমা বানাবার উপকরণ। এর ফলে প্রতি বছর দেশটি অন্তত ছয়টি করে পারমাণবিক বোমা বানাতে সক্ষম বলে জানিয়েছে পারমাণবিক অস্ত্র বিশেষজ্ঞদের একটি দল।
ওই বিশেষজ্ঞ দলের প্রধান সিগফ্রায়েড হেকার জানিয়েছেন, প্রতি বছর প্রায় ১৫০ কেজি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছে উত্তর কোরিয়া।
সোমবার ওয়াশিংটনের জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে তিনি লেখেন, ওই বিপুল পরিমাণ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের ফলে বছরে ছয়টি করে পারমাণবিক বোমা বানানোর সক্ষমতা অর্জন করেছে দেশটি। উত্তর কোরিয়ার কাছে বর্তমানে ৩২ থেকে ৫৪ কেজি প্লুটোনিয়াম মজুদ রয়েছে বলেও ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়। এর আগে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী হান মিন-কু জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়ার কাছে প্রায় ৪০ কেজি প্লুটোনিয়াম রয়েছে।
তবে উত্তর কোরিয়া আগে থেকেই দাবি করে আসছে, তারা পারমাণবিক বোমা বহনে সক্ষম মধ্যম পাল্লার ব্যালিস্টিক মিসাইল তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে।