ভারতের মধ্য প্রদেশের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্রীর চুল কেটে ‘শাস্তি’ দিয়েছেন এক স্কুল শিক্ষক। অভিযোগের বিষয়টি জানাজানি হতেই তাকে বরখাস্ত করেছেন জেলাপ্রশাসক। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত স্কুলে যোগ দিতে পারবেন না ওই শিক্ষক।
পড়া করে না আসায় শিক্ষক দিবসের দিনেই ছাত্রীর চুল কেটে নিয়ে ‘শাস্তি’ দিলেন মধ্যপ্রদেশের রতলামের সরকারি প্রাথমিক স্কুলের ওই শিক্ষক।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি এ সময় মদ্যপ অবস্থাতে ছিলেন। ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হতেই জেলাপ্রশাসক তাকে বরখাস্ত করেন।
মধ্যপ্রদেশের ওই শিক্ষকের নাম বীর সিং মেধা। রতলাম জেলা সদর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে সেমালখেড়ির একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক তিনি। অভিযোগ, শিক্ষক দিবসে আকণ্ঠ মদ্যপান করে এসে এক ছাত্রীর চুল কেটে দেন তিনি। মেয়েটি প্রবল চিৎকার করে কাঁদতে শুরু করলে স্থানীয় এক গ্রামবাসী স্কুলে ছুটে আসেন।
এসে দেখেন, অভিযুক্ত শিক্ষক খুদে ছাত্রীর লম্বা বিনুনি বাঁধা চুল কাঁচি দিয়ে কেটে দিচ্ছেন। ততক্ষণে আরও অনেকেই জড়ো হয়েছেন সেখানে। প্রথম যে গ্রামবাসী এসেছিলেন, তিনি শিক্ষককে থামতে বলেন। জানান, তিনি যা করছেন, তা ঠিক নয়। পাত্তা দেননি অভিযুক্ত। তখন ওই গ্রামবাসী ভিডিয়ো রেকর্ড করার কথা বলেন। তাতেও তিনি নির্বিকার।
পাল্টা বলেন, ‘যা খুশি করুন। আমাকে কেউ কিছু করতে পারবে না!’ গ্রামবাসীদের সঙ্গে তুমুল বিতর্ক হয়। অভিযুক্ত ওই শিক্ষক দাবি করতে থাকেন, পড়াশোনা না করার জন্যই ওই ছাত্রীকে তিনি শাস্তি দিচ্ছেন। তাঁকে কেন বাধা দেওয়া হবে! এর পরে ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই জেলাশাসক তাঁকে সাসপেন্ড করেন। সঙ্গে সঙ্গে স্কুল শিক্ষা দপ্তরকে তদন্তের নির্দেশ দেন।