সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ অবিরাম বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে যমুনা নদীর ভাঙ্গনের কবল থেকে সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলা রক্ষায় নির্মাণাধীন বাঁধে সোমবার আবারও প্রায় একশ শ’ মিটার এলাকা জুড়ে ধস নেমেছে। যমুনার প্রচন্ড ঘূর্ণাবর্তে ১০৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৭ কিলোমিটার এই বাধের খগেনের ঘাট অংশে গতকাল সোমবার দুপুরে প্রায় একশ মিটার এলাকা বিলীন হয়েছে। ১০ দিনের মাথায় এই ধস দিয়ে চলতি বছরে ৬ দফা ধসে গেল এই বাধ। নির্মানে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির কারনেই কাজ প্রায় শেষের দিকে যাওয়া বাধটি মুলতঃ বার বার ধসের সম্মুখীন হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী। তবে দায়িত্বপ্রাপ্ত টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ড ত এই ধস ঠেকাতে কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেনি। উল্লেখ্য, এপ্রিলে, ২ ও ১৬ মে, ৮ জুন, ২৩ জুন একই ভাবে এ বাধের বিভিন্ন অংশে ধসে যায়।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্র এবং এলাকাবাসী জানায়, চৌহালী উপজেলা সদরের পৌনে ৪ কিলোমিটার এবং টাঙ্গাইলের সোয়া ৩ কিলোমিটার মিলে ৭ কিলোমিটার এলাকা রক্ষায় এশিয় উন্নয়ন ব্যাংকের অর্থানুকুলে ২০১৫ সালে ১০৯ কোটি টাকার এই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। প্রকল্পের আওতায় নদীর পুর্ব পাড়ের টাঙ্গাইল সদর উপজেলার সরাতৈল থেকে দক্ষিনে নাগরপুর উপজেলার পুকুরিয়া, খগেনের ঘাট, সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার ঘোরজানের চেকির মোড়, আজিমুদ্দি মোড়, খাসকাউলিয়া, জোতপাড়া পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণের জন্য কাজ শুরু হয়। যার ৯৫ ভাগ কাজ ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে। তবে হঠাৎ করে সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নদীর চৌহালীর খগেনের ঘাট অংশে প্রায় ১শ মিটার জুড়ে ধসে যায়। বাধ থেকে বিচ্ছন্ন হয় পাথরের বোল্ড ও জিও ব্যাগ। সাধারন ¯্রােতে আকষ্মিক এ ধসে এলাকা জুড়ে সবার মাঝে আতংক দেখা দিয়। বাঁধ নির্মাণ কাজ সম্পূর্ন হবার আগেই দফায়-দয়ায় এমন ধস নামায় নানা ানিয়ম ও দূর্নীতির বিষয়টি এরাকাবাসীকে নাড়া দিয়েছে। কাজ নিয়ে অসন্তোষ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এলাকাবাসী।
এদিকে বাঁধটি বার-বার ধসে চিন্তিত তদারকির দায়িত্বপ্রাপ্ত টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহজাহান সিরাজ। তিনি জানান, বার-বার ধসে আমরাও বিব্রত। বিষয়টি প্রধান প্রকৌশলী ও মহাপরিচালককে অবহিত করা হয়েছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দ্রুত বাঁধ পরিদর্শন করে কার্যকরি পদক্ষেপ নিবেন।