নিউজ ডেস্ক:
চোখের স্থায়ী বড় ধরনের কোনো সমস্যা না করে না। তবে এটা বেশ যন্ত্রনাদায়ক এবং বিব্রতকর। ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার অভাব, মানসিক চাপ, হরমোন পরিবর্তন থেকে এই সমস্যা হতে পারে। চোখে ব্যথা, ফোলাভাব, সংবেদনশীলতা, জ্বালা করা, চুলকানি, পলক ফেলতে সমস্যা এবং চোখে প্রচুর ময়লা জমা চোখে অঞ্জলি হওয়ার লক্ষণ।
এটি স্থায়ী বা দীর্ঘমেয়াদি কোনো সমস্যা না। মাত্র ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যেই চোখের অঞ্জলি ভালো হয়ে যায়। সঠিক চিকিৎসায় আরো তাড়াতাড়িও ভালো হয় চোখের অঞ্জলি। তবে চোখের অঞ্জলির কিছু ঘরোয়া সমাধান আছে। এতে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তাই নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারেন এগুলো।
গ্রিন টি
আক্রান্ত চোখে কুসুম গরম কাপড়ের পরিবর্তে কুসুম গরম গ্রিন টিয়ের ব্যাগ দিয়ে ভাপ দিতে পারেন। এতে থাকা প্রদাহরোধী উপাদান ব্যথা ও জ্বলুনি কমাতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি গ্রিন টিতে থাকা ট্যানিক অ্যাসিড সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করবে।
ধনিয়া সিদ্ধ
ব্যথা, লালচেভাব এবং ফোলা কমাতে বেশ উপকারী প্রদাহরোধী উপাদানযুক্ত ধনিয়া। এক টেবিল চামচ ধনিয়া পানিতে সিদ্ধ করুন। তারপর ঠাণ্ডা হলে ধনিয়াগুলো ফেলে শুধু পানি দিয়ে আক্রান্ত চোখটি ধুয়ে নিন। উপকার পেতে দিনে ২ থেকে ৩ বার এভাবে চোখ ধুতে পারেন।
আলু
খোসা ছাড়িয়ে গোল পাতলা করে আলু কেটে নিয়ে আক্রান্ত চোখের উপর দিয়ে রাখুন। ফলে চোখের ফোলাভাব ও ব্যথা কমবে। ভালো উপকার পেতে দিনে দুইবার ব্যবহার করতে হবে। এতে মাত্র এক দিনেই লক্ষণীয় উপকার পেতে পারেন।
অ্যালোভেরা
এতে রয়েছে চোখে আরামদায়ক, ব্যাক্টেরিয়ারোধী এবং প্রদাহরোধী উপাদান। যা চোখের লালচেভাব, ফোলাভাব ও জ্বলুনি কমাতে এবং চোখ দ্রুত সারিয়ে তুলতে সহায়তা করে। একটি অ্যলোভেরার পাতা কেটে ভেতরের জেলিজাতীয় উপাদানটি বের করে আক্রান্ত চোখে মাখিয়ে নিতে হবে। ১০ মিনিট রেখে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
পার্সলি
এই সুগন্ধি মশলা পাতা চোখ পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। ফলে চোখ দ্রুত সেরে ওঠে। একমুঠো পার্সলি নিয়ে পানিতে ফুটিয়ে নিন। এবার এই পানিতে পরিষ্কার কাপড় ভিজিয়ে আক্রান্ত চোখ মুছে নিন বারবার।