বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৫
বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৫

চুয়াডাঙ্গায় মোয়াজ্জিনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মামলা

নানা অভিযোগে অভিযুক্ত বাদী নিলুফা : রহস্য
নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের উজলপুরের স্থানীয় পাড়ার মসজিদের মোয়াজ্জিন ইদবার আলীর ছেলে সাইদুরের (৩৮) বিরুদ্ধে একই পাড়ার জহুরুলের স্ত্রী নিলুফা খাতুনকে (২৫) ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় নিলুফা খাতুন বাদী হয়ে একটি নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেছে। যার নং- জি আর ৪৫২/১৮।
মামলা সুত্রে জানা গেছে, গত ২০ জুন ২০১৮ তারিখ রাত ৮টার দিকে উজলপুর স্থানীয় পাড়ার বাসিন্দা জহুরুলের স্ত্রী নিলুফা পাশে চাচী শাশুড়ির বাড়িতে বেড়াতে যায়। এসময় চাচী শাশুড়ী সজি খাতুন নিলুফাকে বাড়িতে রেখে একই গ্রামে মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে যায়। এ সুযোগে একই পাড়ার মৃত ইদবার আলীর ছেলে মসজিদের মোয়াজ্জিন সাইদুর বাড়িতে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় নিলুফা চিৎকার করলে চাচী শাশুড়ী সজি খাতুন ও বাড়ির আশে পাশের কয়েকজন ছুটে আসলে সাইদুর পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে নিলুফা বাদি হয়ে সদর থানায় গত ২৮ জুন ঘটনার ৮ দিন পরে মামলা দায়ের করে।
এদিকে আসামী সাইদুরের পরিবার বলে এ ঘটনা সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট। নিলুফার চাচী শাশুড়ী সজি খাতুন সমিতির কিস্তি দেওয়ার জন্য সাইদুরের কাছে টাকা ধার চাওয়ায় সাইদুর না দেওয়াতে এ ধরনের মিথ্যা মামলা করে হয়রানী করছে। তাছাড়া যে সময়ে ঘটনার কথা বলা হয়েছে সে সময় সাইদুর মসজিদে আযান দিয়ে নামাজের প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। কারন সাইদুর মসজিদে ৫ ওয়াক্ত নামাজের আগে আযান দিতে যায়। এছাড়া সাইদুরের স্ত্রী জানায়, আমার স্বামী দীর্ঘদিন যাবত যৌন রোগে আক্রান্ত। তার দিয়ে এ ধরনের ঘটনা অসম্ভব।
এবিষয়ে গ্রামের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মি, মাতব্বর, মসজিদের মুসল্লি ও ইউপি সদস্যের সাথে কথা বললে তারা জানায়, বিগত দিনে সাইদুরের নামে গ্রামে এ ধরনের কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। আমরা জানি সে একজন ভালো ছেলে। মসজিদে ৫ ওয়াক্ত আযান দেয় এবং মাঝে মাঝে নামাজ পড়ায়। তবে গোপন এক সুত্রে জানা গেছে, জহুরুলের স্ত্রী নিলুফা খাতুন বিয়ের আগে থেকে বিভিন্ন জায়গায় প্রেমজ সম্পর্ক ছিলো। বিয়ের পরেও জহুরুলের পরিবারের এক সদস্যের সাথে অনৈতিক কাজের সময় হাতে নাতে ধরে ফেলে জহুরুল। পরে ঘরোয়াভাবে বসে পরিবারের ওই সদস্যকে দ্রুত বিয়ে দেয় অন্যত্র। এলাকাবাসীর ধারনা এ ঘটনার পিছনে নিলুফার চাচী শাশুড়ী সজি খাতুন ও দুর সম্পর্কের চাচা শশুর মতিয়ারের কোন স্বার্থ লুকিয়ে আছে। এদিকে, নিলুফার তিনটি গোপন অডিও রেকর্ডিং ফাঁস হয়। রেকর্ডিং নিলুফা বলেছে, সাইদুরকে আমি বড় ভাইয়ের মত দেখি, আমি চাপে পড়ে এ ধরনের কথা বলেছি এবং মামলা করেছি। তাছাড়া সে আমার প্রতিবেশী সম্পর্কে ভাশুর হয়।

Similar Articles

Advertismentspot_img

Most Popular