রবিবার, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৫
রবিবার, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৫

চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় নাতনিকে ধর্ষণ : ধর্ষক দাদা গ্রেপ্তার

নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানার নদাগা হরিশপুর গ্রামে ৭ বছরের নাতনিকে (ছেলের মেয়ে) ধর্ষণের অভিযোগে দাদা মুন্তাজ আলী (৫৫) গ্রেপ্তার হয়েছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে অভিযান চালিয়ে দর্শনা থানা-পুলিশ তাকে আটক করে। এর আগে বিকেল ৫টায় শিশুটির মা শ্বশুর মুন্তাজ আলীর বিরুদ্ধে তাঁর শিশুকন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে দর্শনা থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলাসূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের নদাগা হরিশপুর গ্রামের মুন্তাজ আলীর ছেলে হাফিজুল ইসলামের সঙ্গে একই ইউনিয়নের উজলপুর বিলপাড়ার আসমা বেগমের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। আছমা বেগম বিয়ের পর থেকে স্বামী হাফিজুলের সঙ্গে হরিশপুর গ্রামের শ্বশুর মুন্তাজের বাড়িতে বসবাস করে আসছিলো। বসবাসের কয়েক বছর পর থেকেই লম্পট শ্বশুর আসমা বেগমকে বিভিন্ন সময় কু-প্রস্তাব দিতো।

সেসময় আসমা খাতুন বিষয়টি তার স্বামী হাফিজুলকে জানালে, হাফিজুল-আসমা খাতুনকে নিয়ে শ্বশুর বাড়ি উজলপুর বিলপাড়ায় এসে বসবাস শুরু করে। তবে হাফিজুল-আসমা দম্পতির ৭ বছরের শিশুকন্যাটি মাঝেমধ্যেই হরিশপুর গ্রামে দাদা-দাদীর বাড়িতে বেড়াতে যায়। এরই একপর্যায়ে গত সোমবার শিশুটি হরিশপুরে দাদা-দাদীর বাড়িতে বেড়াতে আসলে গত মঙ্গলবার ভোর ৬টার দিকে শিশুটির দাদী পুকুরে শামুক তুলতে গেলে, বাড়িতে অন্য কেউ না থাকার সুযোগে দাদা মুন্তাজ শিশু নাতনিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।

এসময় ওই শিশুকে ধর্ষক দাদা কাউকে কিছু না বলতে নিষেধ করে ও বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখায়। কিন্তু গতকাল বুধবার দুপুরে শিশুটি বাড়িতে ফিরে তার মা আসমা বেগমকে সব বলে দেয়। এঘটনা শুনে শিশুটির মা আসমা খাতুন গতকাল বিকাল পাঁচটায় মেয়েকে নিয়ে দর্শনা থানায় হাজির হয়ে তাঁর শিশু কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে লম্পট শ্বশুর মুন্তাজের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পরে গতকালই দর্শনা থানা-পুলিশ অভিযান চালিয়ে ধর্ষক মুন্তাজকে আটক করে। এরিপোর্ট লেখাপর্যন্ত শিশুটি দর্শনা থানা-পুলিশের হেফাজতে ছিলো।

এবিষয়ে দর্শনা থানার ওসি (তদন্ত) শেখ মাহবুবুর রহমান জানান, ‘শিশুকন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে শিশুটির মা আসমা বেগম বাদী হয়ে শ্বশুরের বিরুদ্ধে বুধবার দর্শনা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তারই প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত হরিশপুর গ্রামের খোকাই মন্ডলের ছেলে ওই শিশুকন্যার দাদা মুন্তাজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে শিশুটির শরীরের ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। ভিকটিম শিশুটিকে পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ভিকটিম শিশুটির ডাক্তারী পরীক্ষাসহ আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হবে এবং মুন্তাজ আলীকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।’

Similar Articles

Advertismentspot_img

Most Popular