এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে দেশের সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এছাড়া চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা ২৯ জুন থেকে ১১ আগস্ট পর্যন্ত সকল কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন। তবে এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অবাধে চুয়াডাঙ্গা শহরের কিছু কোচিং সেন্টার চলছিল। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশনায় সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম আশিস মোমতাজ শহরের সিনেমা হলপাড়া, কলেজ পাড়া, কলেজ রোড, মুক্তিপাড়াসহ বেশ কয়েকটি স্থানে অভিযান চালান। এসময় সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে কয়েকটি কোচিং সেন্টার চালু পাওয়া যায়। তিনি কোচিং সেন্টার পরিচালকদের কোচিং বন্ধ করার নির্দেশনা দিয়ে সতর্ক করেন। এবং নিজে কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধ করে আসেন।
সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আশিস মোমতাজ বলেন, সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কয়েকটি কোচিং সেন্টার খোলা ছিল। সবগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাদের সতর্ক করা হয়েছে। আমরা সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে তৎপর আছি। প্রশাসন নিয়মিত মনিটরিং করবে। পরবর্তীতে কোচিং সেন্টার চালু রাখলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফাতেমা-তুজ-জোহরা বলেন, ‘অবাধে চুয়াডাঙ্গা শহরের কিছু কোচিং সেন্টার চলছিল, এমন সংবাদের ভিত্তিতে সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল অভিযান চালানোর। তিনি অভিযান চালিয়ে কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধ করেছেন। প্রশাসন সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে তৎপর। পরবর্তীতে নির্দেশনা না মানলে আইন মেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।