মতবিনিময় সভায় পুলিশ সুপার আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে কোরবানীর পশুর হাটের ইজারাদারদের বিভিন্ন সুবিধা-অসুবিধার বক্তব্য শোনেন। তিনি এবারের হাট ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য পশুর হাটের ইজারাদারদের গুরুত্বপূর্ণ দিক-নিদের্শনা প্রদান করেন।
তন্মধ্যে হাটে এবং হাট সংশ্লিষ্ট খাবারের হোটেলে হাট মালিকের ব্যবস্থাপনায় পর্যাপ্ত সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন,অজ্ঞান ও মলম পার্টি সম্পর্কে সচেতন থাকা,যত্রতত্র ভ্রাম্যমান হোটেল না বসানো,হাট ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালনা এবং পশু হাটের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা।
এক বাজারের গরুর ট্রাক জোর পূর্বক অন্য বাজারে না নামানো, বাজারের নির্দিষ্ট এলাকার বাইরে অথবা মানুষের চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে পশু না রাখা,বাজার কমিটি কর্তৃক প্রদত্ত নির্ধারিত পোষাকে পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক রাখা, বাজারে পর্যাপ্ত লাইটিং ব্যবস্থা রাখা এবং খাজনার তালিকা দৃশ্যমান স্থানে টাঙিয়ে রাখা, জনসচেতনতামূলক ব্যানার/ফেস্টুন ঝুলানো, স্থানীয় অফিসার ইনচার্জদের সাথে সমন্বয় রেখে হাটে পুলিশ কন্ট্রোলরুম রাখা এবং বড় ব্যবসায়ীদের বেশি পরিমান টাকা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে স্থানীয় থানা পুলিশের সহযোগীতা নেওয়া।
পশুহাটে পর্যাপ্ত জালনোট সনাক্তকরণ মেশিন রাখা, চাঁদাবাজি রোধ, পশুর হাটে ক্রেতা বিক্রেতাদের হয়রানি বন্ধ রোধ এবং তাৎক্ষণিক পুলিশী সেবা গ্রহণের জন্য হাট এলাকার দৃশ্যমান স্থানে জেলা পুলিশের সিনিয়র অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট অফিসার ইনচার্জ ও ডিউটি অফিসারদের সরকারি মোবাইল নম্বর সম্বলিত ফেসটুন/ব্যানার টাঙানোর নির্দেশনা প্রদান করেন।
উক্ত মতবিনিময় সভায় জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট অফিসার ইনচার্জ, ডিআইও-১, ডিএসবি, পশু হাটের ইজারাদারগণ ও তাদের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।