দক্ষিণ কোরিয়া তাদের লেজার প্রোগ্রামকে ‘স্টার ওয়ার্স প্রজেক্ট’ বলে অভিহিত করেছে।
প্রতিরক্ষাবিষয়ক প্রশাসন (ডিএপিএ) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সামরিক বাহিনী হেনহুয়া এরোস্পেস সংস্থায় সহায়তার ড্রোন বিধ্বংসী লেজার অস্ত্র তৈরি করেছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর এই অস্ত্রটি কার্যকর এবং তুলনামূলক সাশ্রয়ী। প্রতিবার লেজার আক্রমণে খরচ হবে মাত্র দেড় ডলার। এই লেজারটি নীরব এবং অদৃশ্য।
সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, আমাদের দেশ লেজার অস্ত্র মোতায়েন ও পরিচালনার জন্য বিশ্বে প্রথম দেশ হয়ে উঠছে। উত্তর কোরিয়ার ড্রোন উসকানি যথাযথ ও কড়া জবাব দিতে এমনটি করা হচ্ছে। এই অস্ত্রগুলোকে ভবিষ্যতের যুদ্ধক্ষেত্রে একটি গেম চেঞ্জার হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে৷
লেজার অস্ত্রগুলো ১০ থেকে ২০ সেকেন্ডের মধ্যে আলোর রশ্মির মাধ্যমে ড্রোনের ইঞ্জিন বা অন্যান্য বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম পুড়িয়ে উড়ন্ত ড্রোনকে ধ্বংস করবে।
১৯৫০-৫৩ সালে কোরিয়া যুদ্ধ শান্তি চুক্তির মধ্যে দিয়ে শেষ হয়। চুক্তিতে নিরস্ত্রীকরণসহ ভয়াবহ ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে সম্মত হয় উত্তর কোরিয়া এবং দক্ষিণ কোরিয়া। তবে এমন লেজার অস্ত্র মোতায়েনের সিদ্ধান্তের মধ্যে দিয়ে সেই চুক্তি ভঙ্গ করতে যাচ্ছে সিউল।