বুধবার, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৫
বুধবার, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৫

চিকনগুনিয়া হলে যা করবেন !

নিউজ ডেস্ক:

রাজধানীসহ সারাদেশে বৃদ্ধি পেয়েছে মশার উপদ্রব। অতিরিক্ত এই মশার কারণে হঠাৎ করেই বেড়েছে চিকনগুনিয়া জ্বরের প্রকোপ।

রোগের কারণ
চিকনগুনিয়া নামে ভাইরাসজনিত রোগটি মশার কামড়ের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে। ডেঙ্গু রোগের ভাইরাস যে এডিস মশা বহন করে, সেই মশাই চিকুনগুনিয়া ভাইরাসও বহন করে। চিকনগুনিয়া ভাইরাসবাহী মশার কামড়ে আক্রান্ত ব্যক্তির তিন থেকে চার দিনের মতো শরীরের জ্বর থাকে।

জ্বরের লক্ষণ
এ জ্বরের প্রধান লক্ষণ হলো হঠাৎ তীব্র জ্বর। যা ১০৩ থেকে ১০৪ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠতে পারে।
এ সময় অস্থি সন্ধিতে, হাত বা পায়ের আঙুলের সন্ধিগুলোতে ব্যথা হয়। বড় অস্থিসন্ধিতেও ব্যথা হতে পারে।
জ্বর চলে যাওয়ার পরও ব্যথা থাকতে পারে। কারো কারো ক্ষেত্রে ব্যথা এক দেড় মাস বা তারও বেশি স্থায়ী হতে পারে।
মাথা ব্যাথা করে। বমি বমি ভাব হয়। শরীর প্রচণ্ড দুর্বল হয়ে যায়।
জ্বর ভালো হলেও শারীরিক দুর্বলতা বহাল থাকতে পারে বেশ কিছু দিন।’

চিকনগুনিয়া জ্বর হলে করণীয়   
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন আর সব ভাইরাসজনিত জ্বরের মতোই এর নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই। এ জ্বর হলে –
প্রচুর পানি, সরবত, ওরস্যালাইন, ডাবের পানি পান করতে হবে।
জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল খাওয়া যেতে পারে।
বমি বা অন্যান্য উপসর্গের জন্য সে অনুযায়ী কিছু ওষুধ দেওয়া যেতে পারে।
এন্টিবায়োটিক কোনো কাজে আসে না। বিশেষ ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়া যেতে পারে।
চিকুনগুনিয়ার কোনো ভ্যাক্সিন এখন পর্যন্ত নেই।

Similar Articles

Advertismentspot_img

Most Popular