স্টাফ রিপোর্টার,ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহ কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে চাঁদা না পেয়ে সাধারন ছাত্রদের উপর হামলায় আহত হয়েছে অন্তত ১৪ জন। বৃহস্পতিবারে কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের ছাত্র সাগর শেখের নেতৃত্বে বিল্পব, হুসাইন ও সুজন সহ প্রায় ৩০ জনের একটি দল মুহুল নামে একটি ছাত্র কে মারধর করছিল। এই সময়ে মহুলের বন্ধুরা তাদের বাধাদিলে সাগর ও তার সাথে থাকা ছাত্ররা হোস্টেলের মধ্যে হয়ে রামদা লোহার রড সহ বিভিন্ন ধারাল অস্ত্র নিয়ে ছাত্রদের হামলা করে।
হামলায় কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের ২য় বর্যের ছাত্রদের মধ্যে সজীব(১৭), সৌমিক কুমার চাকী(১৮), হাসিব খান(১৭), মহুল খান(১৮), চঞ্চল বিশ্বাস(১৮), সাইফুজ্জামান মুক্তার (১৭), অনুপ (১৮), আব্দুস সালাম (১৭), সাকিব(১৮), মুক্তাদির (১৭), হৃদয়(১৮), আনিসুর(১৮), মামুন খান(১৭) মাছুম খান সহ আহত ১৪ জনকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে সজীব ও সৌমিক কুমার চাকীর অবস্থা আশংখা জনক বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত ডাক্তার। সাগর কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের ছাত্রলীগের যুগ্ন সম্পাদক বলে জানা গেছে।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত ছাত্র সজীব ও সৌমিক কুমার চাকী সাংবাদিদের জনান, কলেজে ছাত্রাবাসে একজন ছাত্রের মাসে ১ হাজার থেকে ১২ শত টাকা খরচ হয় কিন্তু সাগর শেখ ছাত্রদের নিকট থেকে জোর করে প্রতিমাসে ২০০০ টাকা চাঁদা আদায় করে। বেশ কিছু ছাত্র উক্ত চাঁদার টাকা না দিতে পেরে গত ১৮ তারিখে পাশের এলাকার আবাপ পুর মেসে উঠে। তারপর সাগর গ্রুপ এসে পূনরায় আবার ছাত্রদেরকে কলেজ ছাত্রাবাসে নিয়ে যায়। কলেজ ছাত্রাবাসে ফিরে বাকবিতন্ডের এক পর্য়ায়ে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ছাত্ররা আরো অভিযোগ করে বলে, সাগর কলেজে ইয়াবা সহ বিভিন্ন মাদক ও নারী ব্যবসার সাথে জড়িত। দিনের বেলা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরণের মেয়েরা তার রুমে যায়। রাতে সে ছাত্রীদের মেসে অবাধে আসা যাওয়া করে। তার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। তার এই বিলাসী চলাফেরার জন্য ছাত্রদের নিকট থেকে জোর পুর্বক চাঁদা আদায় করা হয়।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাকিল আহাম্মেদ, কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের সাগর ছাত্রলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক বলে স্বীকার করে বলেন, কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের ঘটনা সাগরের বন্ধুদের সাথে ভুল বুঝাবুঝি। অন্য কোন ঘটনার সাথে সাগর বা তারা জড়িত কি না বলতে পারবো না।
এ ঘটনায় ঝিনাইদহ কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ আব্দুল কাদের সাংবাদিকদের জানান, সাগর ছাত্রাবাসের মেস ম্যানেজার মাদক বা অন্য কোন ব্যবসার সাথে জড়িত কিনা আমার জানা নেই। ঘটনার সময় আমি কলেজ ক্যাম্পাসে উপস্থিত ছিলাম না। কলেজের কাজে যশোর ছিলাম। এখন হাসপাতালে যাচ্ছি আহত ছাত্রদের দেখতে।
এ হামলার সত্যতা স্বীকার করে ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ হরেন্দ্রনাথ সরকার বলেন, হামলার কথা গুনেছি তবে থানায় এখনো পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি।