নিউজ ডেস্ক:
বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে বন্দর নগরী চট্টগ্রামে শুরু হলো তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন। জাতিসংঘের বিশ্ব পর্যটন সংস্থার (ইউএনডব্লিওটিও) ২৯তম এশিয়া ও প্যাসিফিক কমিশন (সিএপি) এবং দক্ষিণ এশিয়া কমিশনের (সিএসএ) যৌথ সম্মেলন এবার চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় নগরীর সার্কিট হাউসে সংবাদ সম্মেলনের মধ্যদিয়ে তিন দিনের এ সম্মেলন শুরু হয়েছে। নগরীর হোটেল রেডিসন ব্লু চিটাগাং বে ভিউতে এ সম্মেলন চলবে ১৭ মে পর্যন্ত। সম্মেলনে বিশ্ব পর্যটন সংস্থা ইউএনডব্লিওটিও এর মহাসচিব ড. তালেব রিফাই উপস্থিত থাকবেন। তিন দিনব্যাপী ইভেন্টটিতে সিএপি ও সিএসএ ভুক্ত ৩০ টি দেশের মন্ত্রী, সচিবসহ এসব দেশের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এবং ইউএনডব্লিওটিও এ এফিলিয়েটেড প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রায় তিন শতাধিক প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করবেন।
গতকাল সন্ধ্যায় সম্মেলন নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ সব তথ্য জানান বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব এসএম গোলাম ফারুকের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের (বিটিবি) সিইও ড. নাসির উদ্দিন, বিপিসির চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান খান কবির, বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ইমরান, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে রাশেদ খান মেনন বলেন, এ সম্মেলনটি প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে হচ্ছে। সম্মেলনটি পর্যটন শিল্পে এগিয়ে যাবার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের একটি স্বীকৃতি। ইউএনডব্লিওটিও জাতিসংঘের একটি বিশেষায়িত সংস্থা। সংস্থাটি পর্যটনের নেতিবাচক প্রভাবগুলো দূরীকরণের মধ্য দিয়ে বিশ্বের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। তিনদিনের এ আয়োজনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের ভাবমূর্তি অনেক বেশি বৃদ্ধি পাবে। একই সঙ্গে এর মাধ্যমে সার্বিকভাবে বাংলাদেশের পর্যটনশিল্পও বিকশিত হবে। তাছাড়া পাহাড়, নদী ও সাগরবেষ্টিত বন্দরনগরী চট্টগ্রাম বিশ্ববাসীর দৃষ্টিও আকর্ষণ করতে সক্ষম হবে। চট্টগ্রাম শহর দেশের ব্র্যান্ডিংয়ের পাশাপাশি এ শহরের পর্যটন, বিনিয়োগ ও বাণিজ্যেও নতুন গতি যোগ করবে।
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘দেশে নিরাপত্তার অভাব, যাতায়াতের সমস্যা, থাকা-খাওয়া ও জঙ্গিবাদ পর্যটনের সবচেয়ে বড় বাধা। তবে সরকার এসব সমস্যা সমাধানে নানা প্রকল্প হাতে নিয়েছে। ইতোমধ্যে শেখ হাসিনার সরকার জঙ্গিবাদকে রুখে দিতে সক্ষম হয়েছেন। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে তিনি যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। এমন অসম্ভবকে সম্ভবে রূপ দিতে পারায় আজ এতবড় একটি সম্মেলন আমাদের দেশে আয়োজন হচ্ছে। যেখানে বিশ্বের অনেক দেশের উর্দ্ধতন পর্যায়ের প্রতিনিধিরাও অংশগ্রহণ করছেন। ’
পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাশেদ খান মেনন বলেন, তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলন বিশ্ব পর্যটন সংস্থার দেওয়া শিডিউল অনুযায়ি হচ্ছে। যে কারণে সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়েই সম্মেলন শুরু হচ্ছে। দ্বিতীয় দিনে মঙ্গলবার পর্যটনে যোগাযোগের ঘাটতি এবং শেষ দিনে জাতিসংঘের বিশ্ব পর্যটন সংস্থার (ইউএনডব্লিওটিও) ২৯তম এশিয়া ও প্যাসিফিক কমিশন (সিএপি) এবং দক্ষিণ এশিয়া কমিশনের (সিএসএ) যৌথ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।