নিউজ ডেস্ক:
এক সময় ঘরের দেওয়ালে শোভা পেত হাল্কা রঙ। তাতে নাকি ঘরের উজ্জ্বলতা বাড়ে। বিজ্ঞান বলে, ঘরের দেওয়াল সাদা বা অন্য কোনও হাল্কা রঙের হলে তাতে আলোর ‘রিফ্লেকশন’ বেশি হয়। তাই ঘর বেশি ঝলমলে লাগে।
এরপর অনেকেই ঘরের ভেতরের রঙে পরিবর্তন আনতে শুরু করেন। একই ঘরের চার দেওয়ালে দেখা যেতে শুরু করে দু’ধরনের রং, তাও আবার বেশ গাঢ় শেডের। ঘরের ভেতরের রং নিয়ে নিত্য নতুন পরীক্ষানিরীক্ষা চলছেই। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে ‘ওয়ালপেপার’। নানা রকমের ছবি-আলপনা আঁকা ওয়ালপেপার লাগিয়ে দিলেই ঝামেলা শেষ।
কিন্তু সম্প্রতি জানা গেছে যে, ঘরের দেওয়ালে লাগানো ওয়ালপেপার থেকে বাড়িতে বসবাসকারীদের নানা রকম অসুখ হতে পারে। ফ্রান্সের ‘ন্যাশনাল ভেটেরিনারি স্কুল অফ তোলু’র অধ্যাপক জ্যঁ-ডেনিস বেলি সম্প্রতি এই তথ্য পেশ করেছেন।
অধ্যাপক বেলির কথায়, দেওয়ালের ওয়ালপেপারে এক ধরনের ফাংগাস বা ছত্রাক জন্মায়, যা থেকে মাইকোটক্সিন বেরোয়। এই টক্সিন নিঃশ্বাসের সঙ্গে মানুষের শরীরে প্রবেশ করলেই বিপদ।
গবেষণা বলছে, এই ধরনের অসুখকে ‘সিক বিল্ডিং সিনড্রোম’ বলে। যা মূলত ঘরে থাকলেই অনুভূত হয়। অধ্যাপক বেলি ও তার গবেষক দল তিন ধরনের ছত্রাক নিয়ে পরীক্ষা চালান—
১। পেনিসিলিয়াম ব্রেভিকমপ্যাকটাম
২। অ্যাসপারগাইলাস ভার্সিকালার
৩। স্ট্যাকিবোট্রিস চার্টারম
তাদের গবেষণায় বলা হয়েছে যে, এই ছত্রাকগুলি থেকে ভিন্ন ভিন্ন মাইকোটক্সিন বেরোয়। যা বাতাসের মাধ্যমে মানুষের শরীরে ঢুকে তাকে অসুস্থ করে দেয়।
‘অ্যাপ্লায়েড অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল মাইক্রোবায়োলজি’ নামে একটি সায়েন্স জার্নালে ওয়ালপেপার সংক্রান্ত এই তথ্য প্রকাশিত হয়। সেখানে বলা হয়েছে যে, ঘরে যথেষ্ট পরিমাণে আলো-বাতাস না ঢোকার ফলেই মূলত ওয়ালপেপারে এই ছত্রাকের বাড়বাড়ন্ত ঘটে।