নিউজ ডেস্ক:
একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় কারাগারে থাকা আসামি হরকাতুল জিহাদ সদস্য (হুজি) জাহাঙ্গীর আলমের সাফাই সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে ট্রাইব্যুনাল। রোববার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিনের আদালত এ আসামির সাফাই সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
পরে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমান এ আসামিকে জেরা করেন। জেরা শেষ না হওয়ায় আদালত আগামীকাল সোমবার পর্যন্ত মামলার পরবর্তী জেরার দিন ধার্য করেছেন।
জানা গেছে, আসামি জাহাঙ্গীর আলমের সাফাই সাক্ষ্য শেষ হওয়ার পর তার বাবা আবুল কাশেম ছেলের পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য প্রদান করবেন।
এদিকে আজ মামলার ১৯ জঙ্গি আসামির মধ্যে ১৭ জনকে ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। দুজন অসুস্থ থাকায় তাদের ডাণ্ডাবেড়ি ছাড়া আদালতে হাজির করা হয় বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।
এর আগে মামলার হরকাতুল জিহাদের (হুজি) ১৯ সদস্যকে ডাণ্ডাবেড়ি ও হ্যান্ডকাপ পরিয়ে জেলহাজত থেকে আদালতের এজলাস কক্ষে হাজির করার নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৪ আগস্ট সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন এ আদেশ দেন।
মামলাটিতে গত ১২ জুন জামিনে ও কারাগারে থাকা ৩১ আসামির আত্মপক্ষ শুনানি হয়। আত্মপক্ষ শুনানিতে ৩১ আসামির সবাই নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। মামলাটিতে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৮ জন আসামি পলাতক থাকায় তারা আত্মপক্ষ শুনানির সুযোগ পাননি।
মামলাটিতে আসামি খালেদা জিয়ার ভাগ্নে লে. কমান্ডার (অব.) সাইফুল ইসলাম ডিউক, প্রাক্তন আইজিপি মো. আশরাফুল হুদা, শহিদুল হক ও খোদা বক্স চৌধুরী এবং মামলার তিন তদন্ত কর্মকর্তা তৎকালীন বিশেষ পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, সিআইডির সিনিয়র এএসপি মুন্সি আতিকুর রহমান, এএসপি আব্দুর রশীদ ও প্রাক্তন ওয়ার্ড কমিশনার আরিফুল ইসলাম জামিনে রয়েছেন।
অন্যদিকে প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, প্রাক্তন উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ২৩ জন কারাগারে এবং বিএনপির চেয়ারপারসনের বড় ছেলে তারেক রহমানসহ ১৯ জন পলাতক। এ মামলার আসামি হুজি নেতা মুফতি হান্নান ও জামায়াত নেতা আলী আহসান মুহাম্মাদ মুজাহিদের অন্য মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জনসভায় গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদিকা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জনের নির্মম মৃত্যু হয়। গ্রেনেডের স্প্লিন্টারের আঘাতে আহত হন কয়েক শতাধিক। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেও শ্রবণশক্তি হারান।