নিউজ ডেস্ক:
যেকোনো সময় পৃথিবীর উপর আছড়ে পড়তে পারে বিশাল গ্রহাণু। আর তাতেই ধ্বংস হয়ে যেতে পারে পৃথিবীর বেশ কিছু শহর। বিজ্ঞানীদের কণ্ঠে এমন কথা বারবারই শোনা যাচ্ছে। আর তারই জের ধরে প্রশ্ন উঠছে, তবে কি সেদিন পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে? আমরা সবাই কি মারা যাব? এবার সেই প্রশ্নরই উত্তর জানালেন বিজ্ঞানীরা।
এ ব্যাপারে নতুন এক বৈজ্ঞানিক গবেষণায় বলা হয়েছে, বড় আকারের কোন গ্রহাণুও যদি এই পৃথিবীতে এসে পড়ে, তারপরেও পৃথিবীর সব প্রাণ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবার সম্ভাবনা নেই। এমনকি, অন্য কোন গ্রহের সাথে যদি এই পৃথিবীর সংঘর্ষও হয়, তারপরেও সব ধরনের প্রাণ পুরোপুরি হারিয়ে যাবে না।
অক্সফোর্ড এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা বলেছেন, এরকম পরিস্থিতিতে আণুবীক্ষণিক ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কিছু প্রাণী বেঁচে থাকতে পারে। সাড়ে ছয় কোটি বছর আগের এ রকম এক ঘটনায় পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিলো অতিকায় এক প্রাণী ডায়নোসর। গবেষণায় আরো বলা হয়েছে, পৃথিবীর ইতিহাসে এ ছিলো এক নাটকীয় ঘটনা। কারণ একটা সময় ছিলো এই প্রাণীটিই পৃথিবীতে রাজত্ব করেছে প্রায় ১৫ কোটি বছর ধরে। কিন্তু এই প্রাণীটির অস্তিত্বও ওই গ্রহাণুর আঘাতে ধ্বংস হয়ে গেছে।
এছাড়া এই গবেষণার সাথে জড়িত বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, টারডিগ্রেইডস নামে পরিচিত একটি প্রাণীর সন্ধান পাওয়া গেছে যারা যেকোনো ধরনের তেজস্ক্রিয় বিস্ফোরণের সাথেও খাপ খাইয়ে নিতে পারে। গ্রহাণুর সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষে সবাই নিশ্চিহ্ন হলেও অর্থাৎ এই টারডিগ্রেইডসদের কিছু হবে না। এরা বেঁচে থাকতে পারে মহাকাশের বিশাল শূন্যতার ভেতরেও। শুধু উচ্চ তাপমাত্রা নয়, এমনকি মাইনাস বিশ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো প্রচণ্ড ঠাণ্ডার মধ্যেও বহু বহু বছরেও তাদের মৃত্যু হয় না বলে জানা গেছে।
সূত্র: বিবিসি